Thursday, 25 September, 2025

নাটোরে রেকর্ড খেজুর গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা


খেজুরের রেকর্ড পরিমান গুড় উৎপাদন

শীত মৌসুমে নাটোর জেলায় অন্তত ১০৫ কোটি টাকার খেজুর গুড় উৎপাদন হবে। রস আহরণযোগ্য ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৬২২টি খেজুর গাছ থেকে এই গুড় পাওয়া যাবে। জেলার ১০ হাজার ব্যক্তি খেজুর রস আহরণ ও গুড় তৈরিতে সংশ্লিষ্ট।

খেজুরের রস ও গুড় দু’টোই মানুষের কাছে খুব প্রিয় খাবার। খেজুরের রস ও গুড়কে ঘিরে কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। প্রতিবছর জেলার ১০,০০০ ব্যক্তি খেজুরের রস দিয়ে গুড় উৎপাদন করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নাটোর জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় মোট খেজুর গাছ রয়েছে ৬ লাখ ২৭ হাজার ৭৯০টি। এর মধ্যে রস সংগ্রহের উপযোগী গাছের সংখ্যা ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৬২২টি। শীত মৌসুমের ৭৫ দিনে প্রতিটি গাছ থেকে গড়ে ১৭৪ কেজি রস পাওয়া যায়। আর প্রতিটি গাছের রসে গুড় উৎপাদন হয় ১৭.৪০ কেজি।

আরো পড়ুন
ধানের বাম্পার ফলন: ফুল ফোটার সময় কৃষকের করণীয়

বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য ধান। এ দেশের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা এই ফসলের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। ধানের ফলন বাড়াতে হলে এর Read more

ঢাকায় শুরু হলো আগ্রোফরেস্ট্রি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং গ্রামীণ জীবিকা উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকায় শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক বিশেষজ্ঞ বৈঠক। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) Read more

গত মৌসুমে প্রায় শত কোটি টাকার খেজুর গুড় উৎপাদন হয়েছিল। এ বছরে এর পরিমান আরো বেশি হবার সম্ভাবনা রয়েছে।

লালপুরের উৎপাদন মাত্রা

জেলার সব উপজেলাতেই খেজুর গাছ থাকলেও লালপুর উপজেলায় গাছের সংখ্যা ও গুড় উৎপাদন হয় সবচেয়ে বেশি। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা অঞ্চলে সড়ক ও রেল লাইনের দুই পাশে, জমির আইল, বাড়ির আঙ্গিনায় ছড়িয়ে আছে ৩ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ খেজুরের গাছ।

এসব গাছ থেকে গুড় সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৫,০৭৯ টন। খেজুর গাছের রস সংগ্রহ কার্যক্রমে উপজেলার প্রায় ৩,০০০ পরিবার নির্ভরশীল।

বড়াইগ্রামএর উৎপাদন মাত্রা

এরপরেই রয়েছে বড়াইগ্রাম উপজেলা। সম্প্রতি বড়াইগ্রামে খেজুরের রস সংগ্রহ ও গুড় উৎপাদনকারী অর্ধশতাধিক গাছিকে নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে এই কর্মশালার আয়োজন করে প্রাকৃতিক পুষ্টিযুক্ত মিষ্টি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান রুট বাংলাদেশ।

অযত্ন ও অবহেলায় থাকা এসব খেজুর গাছের কদর বাড়ে শীতকাল এলেই। খেজুরের গাছ অন্য কোনো ফসলের ক্ষতি করে না। এই গাছের জন্য বাড়তি কোনো খরচ গুনতে হয় না। ঝোপ-জঙ্গলে কোনো প্রকার যত্ন ছাড়াই বেড়ে উঠে খেজুর গাছ। শুধুমাত্র শীত মৌসুম এলে নিয়মিত পরিষ্কার করে রস সংগ্রহ করা হয়।

প্রতিদিন একজন গাছি প্রায় ৫০ থেকে ৫৫টি খেজুর গাছের রস সংগ্রহ করে থাকেন। একজন গাছি শীত মৌসুমে ৭০ থেকে ৭৫ দিনে একটি খেজুর গাছ থেকে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ কেজি গুড় পেয়ে থাকেন। এছাড়া খেজুরের পাতা দিয়ে মাদুর ও গাছ কেটে ঘরের তীর তৈরি করা হয়।

0 comments on “নাটোরে রেকর্ড খেজুর গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ