Sunday, 21 December, 2025

তলিয়ে গেল প্রায় কোটি টাকার ভূট্টা


বন্যায় প্লাবিত ভূট্রা ক্ষেত

পানিতে তলিয়ে গেল কৃষকের কষ্টের প্রায় কোটি টাকা মূল্যর ভূট্টা ।খালের মুখ বন্ধ থাকায় উজানের পানি সরাসরি জমিতে প্রবেশ করার কারণে এ দুর্যোগ সৃষ্টি হয়েছে ।

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় ডাহিয়া গ্রামের কৃষকদের উৎপাদিত অন্যতম ফসল হল ভূট্টা। এবার এ অঞ্চলে প্রায় ৪৬০ বিঘা জমিতে ভূট্টার চাষ হয় । স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় মারফত জানা যায় যে, এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে ভূট্টা সংগ্রহ শুরু হলেও তা পুরোদমে উঠতে শুরু করে মে মাসে। তবে এবার প্রধানত করোনা পরিস্থিতিতে লোক সংকটের কারনে তা অনেকটা ধীরগতিতে চলছিল। সেই সাথে ঘুর্ণিঝড় আম্ফানের দরুন ভূট্টাগাছ সব মাটিতে শুয়ে পড়ে। আম্ফানের প্রভাবে টানা প্রবল বর্ষনের কারনে ঢালের পানি সিংগার খালের মাধ্যমে ঢোকে এবং অল্প সময়ের মাঝেই ভূট্টাখেত তলিয়ে যায়। এতে বেশিরভাগ ভুট্টা জমিতেই নষ্ট হয়ে যায়।

বন্যায় প্লাবিত শস্য ক্ষেত
বন্যায় প্লাবিত শস্য ক্ষেত
আরো পড়ুন
শীতে শখের অ্যাকুরিয়াম: মাছের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় যত্ন ও সতর্কতা
শীতে অ্যাকুরিয়ামের মাছের যত্ন

শীতের আমেজ আমাদের জন্য আরামদায়ক হলেও অ্যাকুরিয়ামের ছোট ছোট মাছগুলোর জন্য এই সময়টি বেশ চ্যালেঞ্জিং। পানির তাপমাত্রা হঠাৎ কমে গেলে Read more

বন্যপ্রাণী গবেষণা ও সংরক্ষণে নতুন দিগন্ত: প্রথমবারের মতো অনুদান দিচ্ছে বন বিভাগ
বন্যপ্রাণী গবেষণায় ৫০ লাখ টাকার অনুদান দিচ্ছে বন বিভাগ

দেশে বন্যপ্রাণী গবেষণা ও সংরক্ষণ কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে প্রথমবারের মতো বিশেষ গবেষণা অনুদান কর্মসূচি চালু করেছে বন বিভাগ। অন্তর্বর্তী Read more

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন জানানযে, কেবল ৫০-৬০ ভাগ ভূট্টা নষ্ট হয়েছে।তিনি মনে করেন একই সময়ে ভূট্টা ও ধান কাটার সময় হবার কারনে কৃষকেরা ধানের দিকে মনোযোগী ছিলেন, ফলে ভূট্টা সময়মতো তোলা সম্ভব হয়নি।

কৃষি বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ৩৫-৪০ মণ ভূট্টা উৎপাদন হয়। বর্তমান বাজার দরে শুকনা ভূট্টা প্রায় ৮০০ টাকা এবং কাচা ভূট্টা প্রায় ৬০০ টাকা দরে বিক্রয় হয়। সেক্ষেত্রে প্রায় ১৪ হাজার মণ ভূট্টার জন্য ১ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয় চাষিদের মারফত জানা যায় যে, সিংগার খালের ভাটি অঞ্চল গুরুদাসপুর উপজেলার বিলসা এলাকা ভরাট হবার কারনে সেখান দিয়ে পানি বের হয়ে যেতে পারে না। যার ফলে বগুড়া অঞ্চল হতে ঢালের পানি খালের মাধ্যমে তাদের জমিতে ঢুকে পড়ছে। এই খালের মুখ দ্রুত খনন করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় ভু্ক্তভোগী সকল কৃষক।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে খালের খনন কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান স্থানীয় ডাহিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম। তিনি বলেন, সিংগার খালের ৬ কিলোমিটারের প্রায় ৪ কিলোমিটারের খনন কাজ শেষ। ভাটি অঞ্চলের কিছু খনন কাজ অবশিষ্ট আছে বলে তিনি জানান, যে কারনে পানি নেমে যেতে পারছে না। বর্তমানে পানি ভুট্টা খেতে হয়ে আাবাদী জমিতে প্রবেশ করছে । এ বিষয়ে তিনি উপজেলা পরিষদকে অবগত করেছেন।

0 comments on “তলিয়ে গেল প্রায় কোটি টাকার ভূট্টা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ