ডালিম (pomegranate) কে না চেনে! খুবই সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও মিষ্টি একটি ফল ডালিম। ডালিম দেখতে খুব আকর্ষণীয় একটি ফল ডালিম, যাকে আনার বা বেদানাও বলা হয়।
বসতবাটির আঙ্গিনায় ডালিম গাছের দেখা পাওয়া যায়। আমাদের দেশের উর্বর মাটি বেদানা চাষের উপযোগী। অনেক ঔষধী গুণ সম্পন্ন এই গাছের চাষ টবেও করা যায়। তবে জেনে নেয়া যাক কিভাবে টবে ডালিম গাছের চাষ করা যায়।
টবে ডালিম গাছের চাষ
ডালিম গাছ যে কোনও মাটিতেই জন্মায়। কিন্তু ভারী দোঁ-আশ ও বেলে মাটি ডালিম গাছের চাষের জন্য খুব উপযোগী। টবে ডালিম চাষ করতে হলে প্রথমেই পরিমান মতো দো-আঁশ বা বেলে মাটি নিতে হবে।
এই মাটির সাথে কম্পোস্ট সার, ইউরিয়া, এমওপি মিশিয়ে নিতে হবে। এতে টবের মাটি আরও উপযুক্ত হবে। সাথে পাতা পচা সার, গোবর, খৈল ইত্যাদি মিশিয়ে নিলে ভাল হবে। কিছু দিন পর মাটি খুচিয়ে দিতে হবে।
৫ দিন রেখে দিতে হবে। এর পর মাটি ঝুরঝুরে হলে কলম চারা টবে লাগাতে হবে। নিয়মিত পানি সেচ দিতে হবে। দুই সপ্তাহ অন্তর অন্তর খৈল পচা পানি দিলে গাছ ভালো থাকবে।
১ বছর বয়সী গাছে গোবর সার, ইউরিয়া সার, টিএসপি সার, পটাশ সার প্রয়োগ করতে হবে। বছর শেষে সারের মাত্রা একটু করে বাড়িয়ে দিতে হবে।
ডালিম গাছের গোড়ায় নিয়মিতভাবে আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। ডালিমের চাষাবাদ করতে হয় খুব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ভাবে ।
গাছে প্রতিদিন হাল্কা পরিমাণে পানি দিতে হবে। গাছের গোড়ায় পানি জমতে দেয়া যাবে না।সার প্রয়োগের পর পর মাটিতে পানি দিতে হবে।
ডালিম গাছের ডাল নিয়মিত ছাটাই করে দিতে হবে। তাহলে নতুন শাখা-প্রশাখা বের হবে। মাঝে মাঝে শিকড় থেকে বের হওয়া সাকারও ছেঁটে দিতে হবে।
সারা বছরই অল্প অল্প করে ফুল আসলেও সব সময়ের ফুল থেকে ফল আসে না। বসন্তকালের ফুলে গ্রীষ্মকালে ফল হয় কিন্তু গুণগত মান ভালো হয় না। কিন্তু বর্ষার শুরুতে আসা ফুল থেকে ফল হয় কার্তিক অগ্রহায়ণ মাসে।
ডালিম ফলের মান খুব ভালো হয়ে থাকে। তাই এসময় গাছের বিশেষ পরিচর্যা করতে হবে। বর্ষা শুরু হওয়ার আগে ১-২ বার পানি দিতে হয়। বর্ষা শুরু হলেই গাছের বৃদ্ধি হয়। একই সাথে ফুল ফল ধারণ শুরু হয়।