Thursday, 13 March, 2025

সর্বাধিক পঠিত

চাল আমদানিতে বাংলাদেশ দ্বিতীয়, প্রথম চীন


চাল আমদানির সিদ্ধান্ত

এখন বিশ্বে চাল আমদানিতে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে। বাংলাদেশের ওপরে রয়েছে চীন। এরপরেই ফিলিপাইন, নাইজেরিয়া ও সৌদি আরবের অবস্থান।

যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)  চলতি মাসের একটি প্রতিবেদনে এটি প্রকাশ করেছে।

‘খাদ্যশস্য: বিশ্ববাজার ও বাণিজ্য’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ হিসাব তুলে ধরেছে তারা।

আরো পড়ুন
বছরে ২৩০টি ডিম দেয় নতুন জাতের ‘বাউ ডাক’

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) উদ্ভাবিত নতুন জাতের হাঁস ‘বাউ-ডাক’ দেশের হাঁস খামার ব্যবস্থায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। যেখানে দেশি Read more

মৎস্য খাতে তরুণদের আগ্রহ আশাব্যঞ্জক: ফরিদা আখতার
fish conference

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, তরুণদের মধ্যে মৎস্য খাতে কাজ করার প্রতি যে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে, তা অত্যন্ত Read more

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ২৬ লাখ ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করেছে ২০২০-২০২১ বাণিজ্য বছরে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্য অনুযায়ী, বাণিজ্য বছর বলতে প্রতিবেদন প্রকাশের আগের ১২ মাস ধরে হিসাব কর হয়।

বাংলাদেশ চাল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ, দাবি সরকারের

বাংলাদেশকে দীর্ঘদিন ধরে চাল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ দাবি করে আসছে সরকার।

কিন্তু ইউএসডিএর প্রতিবেদন বলছে ভিন্ন কথা।

প্রতিবেদন অনুসারে বাংলাদেশ এখন বড় আমদানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে।

যদিও বাংলাদেশ ধারবাহিক ভাবে আমদানি করে না।

২০১৭ সালে দেশে হাওরে আগাম পানি চলে আসে। সেই সাথে বন্যার কারণে ফসলহানি হয় ও চাল উৎপাদন কম হয়।

যার ফলে সরকারকে শুল্ক তুলে নিয়ে বিপুল চাল আমদানি করতে হয়।

এদিকে ইউএসডিএর ডিসেম্বরে ‘বৈশ্বিক কৃষি উৎপাদন’ প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।

এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে চাল উৎপাদন আগের পূর্বাভাসের তুলনায় সাড়ে ৭ লাখ টন কম হতে পারে ২০২১-২০২২ সময়ে।

উৎপাদন ৩ কোটি ৫৫ লাখ টন দাঁড়াতে পারে।

গত মাসে ইউএসডিএ বাংলাদেশ নিয়ে এক প্রতিবেদন করে।

তাতে জানায়, দেশে এ বছর আউস মৌসুমে ধানের আবাদ কম হয়েছে।

চলতি বছর বর্ষাকাল দেরিতে শুরু হয়েছে এবং  বৃষ্টি কম হয়েছে।

যার কারণে আমন ধানের উৎপাদনও কিছুটা কম হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান যে, যেহেতু উৎপাদন  কম হয়েছে তাই বাংলাদেশকে এই আমদানি অব্যাহত রাখতে হবে।

চালের চাহিদা বাড়ছে বিভিন্ন খাতে

বাজারে চালের দাম এখনো যথেষ্ট বেশি।

আমদানির সুযোগ দিয়েও সরকার দাম কমাতে পারছে না।

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক জানান যে, দেশে মানুষের আয় বাড়ছে।

যার দরুন বেড়েছে ভাত সহ অন্যান্য সব ধরনের খাদ্য গ্রহণ।

চালের চাহিদা বাড়ছে হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশুর খাবারসহ বিভিন্ন খাতে।

কিন্তু তার পরিমাণ এখনো হিসাব হয়নি।

তার ভাষ্যমতে, আদমশুমারি করে দেশের বর্তমান জনসংখ্যারও একটি হিসাব তৈরি করতে হবে।

তাহলে দেশে কী পরিমাণ চাল দরকার তা বলা সম্ভব হবে।

দেশে প্রতিবছর চাল উৎপাদন বাড়ানো হলেও চাহিদা থেকে যাচ্ছে।

সে কারণে সরকার এখন বস্তুনিষ্ঠ পরিসংখ্যানের ওপরে গুরুত্ব দিচ্ছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে মোটা চাল খুচরা পর্যায়ে কেজি ৪৪ থেকে ৪৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে সরু চালের দাম কেজি ৬৬ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে।

এ ছাড়া মাঝারি চাল ৫২ টাকা কেজি দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

গত বছর করোনার সংক্রমণ এর পর থেকে চালের দাম অনেকটা বেড়ে যায়।

এরপর েএটা আর কমানো সম্ভব হয়নি।

বর্তমানে সরকারের খোলাবাজারে বিক্রি কর্মসূচির  দোকানে কম দামে চাল কিনতে মানুষ ভীর জমায়।

0 comments on “চাল আমদানিতে বাংলাদেশ দ্বিতীয়, প্রথম চীন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আর্কাইভ