Saturday, 07 June, 2025

সর্বাধিক পঠিত

গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষে লাভবান হচ্ছেন শার্শার চাষিরা


যশোরের শার্শার কৃষকেরা গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষে লাভবান হচ্ছেন। শিম এবং টমেটো চাষে সাফল্যের মুখ দেখছেন। শীত মৌসুমের ফসল অসময়ে হাতে পেয়েছেন কৃষকেরা। এ যেন সোনার হরিণ হাতে পাওয়া। গ্রীষ্মকালীন সবজি সামান্য জমিতে চাষ করে বেশি মুনাফা পাওয়ার কারণে তাদের মুখে আনন্দের হাসি ফুটেছে।

যশোরের শার্শায় সরাসরি গিয়ে দেখা যায়, এই উপজেলার নারায়ণপুর, শ্যামলাগাছি, কাশিপুর গ্রামের বিভিন্ন মাঠে গ্রীষ্মকালীন শিম ও টমেটোর চাষ হচ্ছে প্রচুর। এ বছর গরমের সময়ও টমেটো ও শিম চাষে সফলতার মুখ দেখছেন চাষিরা তার বড় কারণ আবহাওয়া অনুকূলে থাকা।  এলাকা ছেয়ে গেছে বেগুনি আর হলুদ ফুলে। বেনাপোল এবং নাভারনের কাঁচা বাজারে গত সপ্তাহে প্রতি কেজি শিম ৭৫-৮০ টাকা এবং টমেটো ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরে পাইকারি ভাবে বিক্রয় হয়েছে।

আরো পড়ুন
পেঁপে চাষে অপার সম্ভাবনা: পুষ্টি ও অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত

বাংলাদেশে পেঁপে চাষের সম্ভাবনা অপরিসীম। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফল দেশের কৃষি ও পুষ্টি নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। শুধু তা-ই Read more

গরমে সতেজ লিচু: টাটকা রাখার সহজ উপায়!

গরম এলেই সবার পছন্দের ফল লিচু। মিষ্টি আর রসে ভরা লিচু শরীরকে যেন নিমেষেই ঠান্ডা করে দেয়। অনেকেই একসঙ্গে অনেক Read more

পলি শেড আর নিচে বেড করে টমেটোর চাষ হচ্ছে শার্শা উপজেলায়। ভাল ফলন এবং বাজারে রয়েছে পর্যাপ্ত চাহিদা। পাশাপাশি দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকরা দেখছেন অধিক লাভের সম্ভাবনা।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বাহার, বিনা টমেটো-৪, বিনা টমেটো-৫, , বারি টমেটো-৩, ৪ বারি টো টো-২ বা রতন এবং হাইব্রিড এর মধ্যে সবল, মিন্টু, বারি টমেটো-৫ জাতের টমেটোর খুব ভাল ফলন হচ্ছে। চারা লাগানোর ৬০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে জাতভেদে পাকা টমেটো সংগ্রহ  করা যায়। টমেটো সংগ্রহ করা যায় কাঁচা, পাকা দুই অবস্থাতেই। গাছ প্রতি  অন্তত সাত থেকে আটবার সংগ্রহ করা যায় টমেটো। টমেটোর ফলন জাতভেদে ৮০ থেকে ১০০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে।

শার্শা উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের শিম চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় এক লাখ টাকা খরচ হয় প্রতি বিঘা শিম চাষে। বাজারে ভাল দাম থাকায় টমেটোর খরচ একটু বেশি হলেও লাভ দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

বেনাপোলের নারায়ণপুর গ্রামের কৃষকরা জানান, এক বিঘা জমিতে বারি-৮ জাতের টমেটো চাষ করে প্রায় দুই লাখ টাকা লাভ করেছেন  তারা ।

শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, যশোর অঞ্চলে গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষের আগ্রহ দিনদিন বাড়ছে চাষিদের মধ্যে।  নতুন নতুন সবজি উদ্ভাবনে চাষিরা আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি প্রয়োগ করে এগিয়ে আসছেন। যার কারণে প্রতিবছর নতুন নতুন এলাকায় গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষ বেড়ে গেছে। এতে সারাবছরই বাজারে পাওয়া যাচ্ছে নতুন নতুন সবজি এবং চাষিরা লাভবান হচ্ছেন।

0 comments on “গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষে লাভবান হচ্ছেন শার্শার চাষিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আর্কাইভ