Wednesday, 12 March, 2025

সর্বাধিক পঠিত

কৃষিঋণে কৃষি কার্ড বা প্রত্যয়নপত্র ব্যবহারের চিন্তা


দেশে কৃষিঋণের পরিমাণ ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৬ হাজার ২৯২ কোটি টাকা হয়েছে যা ২০০১ সালে ছিল ৩ হাজার ২০ কোটি টাকা (৩০.২০ বিলিয়ন টাকা)। কিন্তু ব্যাংকগুলো প্রদত্ত মোট ঋণের অনুপাতে কৃষিঋণের পরিমাণ কমেছে। ২০০১ সালে মোট ঋণের ৪.৬৮% ছিল কৃষিঋণ যা কমে ২০২০-২১ অর্থবছরে ২.৬% এ দাঁড়িয়েছে।

বুধবার সকালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষকদের প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ সহায়তা বৃদ্ধির বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।

কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) মো: রুহুল আমিন তালুকদার।

আরো পড়ুন
বছরে ২৩০টি ডিম দেয় নতুন জাতের ‘বাউ ডাক’

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) উদ্ভাবিত নতুন জাতের হাঁস ‘বাউ-ডাক’ দেশের হাঁস খামার ব্যবস্থায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। যেখানে দেশি Read more

মৎস্য খাতে তরুণদের আগ্রহ আশাব্যঞ্জক: ফরিদা আখতার
fish conference

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, তরুণদের মধ্যে মৎস্য খাতে কাজ করার প্রতি যে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে, তা অত্যন্ত Read more

এতে কৃষিঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে জামানতের পরিবর্তে ‘কৃষি কার্ড’ বা স্থানীয় পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের ‘প্রত্যয়নপত্র’কে আমলে নেয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

সভায় কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো: নাসিরুজ্জামান, বিএডিসির চেয়ারম্যান (সম্প্রতি সচিব হিসাবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত,মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়) মো: সায়েদুল ইসলাম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো: হাসানুজ্জামান কল্লোল, কৃষি সম্পরসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আসাদুল্লাহ, কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, রাজশাহী উন্নয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কৃষকদের প্রাতিষ্ঠানিক কৃষিঋণ সহায়তা কীভাবে বৃদ্ধি করা যায় সে বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়। বিশেষ করে প্রান্তিক কৃষকের কাছে ঋণসুবিধা কীভাব আরও বেশি করে পৌঁছে দেয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়। এ বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) কী ভূমিকা পালন করতে পারে তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।

আলোচনায় প্রকৃত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের ঋণপ্রাপ্তি সহজলভ্য করতে ডিএই, বিএডিসি ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মসূচি/প্রকল্পের আওতায় যেসব ‘কৃষক গ্রুপ’ রয়েছে- তাদের সাথে ব্যাংকের সংযোগ বৃদ্ধি; মাঠ দিবস উদযাপন ও কৃষক প্রশিক্ষণের মডিউলে ‘কৃষিঋণ’ বিষয়কে অন্তর্ভুক্তকরণ ও স্থানীয় ব্যাংক কর্মকর্তাদেরকে প্রশিক্ষণে আমন্ত্রণ; দেশে কৃষিঋণের প্রকৃত চাহিদা নিরূপণে সমীক্ষা পরিচালনার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

কৃষিঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে জামানতের পরিবর্তে ‘কৃষি কার্ড’ বা স্থানীয় পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের ‘প্রত্যয়নপত্র’কে আমলে নেয়ার কথা বলা হয়। এছাড়া, কৃষিঋণ বিতরণের পরিসংখ্যানকে ঢেলে সাজিয়ে এর সাথে শস্য, কৃষকশ্রেণি ও অঞ্চলভিত্তিক এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে কৃষিঋণ বিতরণের পরিসংখ্যান প্রণয়নের ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।

সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম বলেন, কৃষকের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ঋণসুবিধা সহজ করতে পারলে তাদের চাহিদা পূরণ হবে। ফলে কৃষির পুরো সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি করা যাবে। এতে দেশ উপকৃত হবে।

কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো: নাসিরুজ্জামান বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে সারাদেশে পারিবারিক পুষ্টিবাগান স্থাপন কার্যক্রম চলছে। যেটি খুব ভাল উদ্যোগ। এই পুষ্টিবাগান স্থাপনে সরকারি সুবিধার বাইরের আগ্রহী কৃষকেরা যাদের কমপক্ষে ১ শতক জমি আছে তাদেরকে কৃষি ব্যাংক থেকে জামানত ছাড়াই ৫ হাজার টাকা করে ঋণ দেয়া হবে।

সভায় আরও জানানো হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, চলমান অর্থবছরে জানুয়ারি ২১ পর্যন্ত মোট কৃষিঋণ ২৬ হাজার ২৯২ কোটি টাকার মধ্যে ১৪ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া, ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনার মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৫১৪ কোটি টাকা বিতরণ হয়েছে।

0 comments on “কৃষিঋণে কৃষি কার্ড বা প্রত্যয়নপত্র ব্যবহারের চিন্তা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আর্কাইভ