আমাদের দেশের কৃষিতে রয়েছে প্রাচুর্য । সেই সাথে রয়েছে অপার সম্ভাবনা। সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বিভিন্ন ধরণের শষ্য ও ফল গাছের চাষ নিয়ে কাজ করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। কৃষি মন্ত্রনালয় যার জন্য নিচ্ছে বিভিন্ন উদ্যোগ, প্রকল্প। তেমনি এক প্রকল্পের আওতায় প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কফির চারা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার অন্তর্গত বেরিবাইদ ইউনিয়নে প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে কফির চারা বিতরণ কার্যক্রম এর উদ্বোধন করেছেন। তবে শুধু কফিই নয় একই সাথে কাজুবাদামের চারাও প্রদান করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এই চারা বিতরণ কার্যক্রম আয়োজন করে। গত বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বেরিবাইদ ইউনিয়নের মাগন্তীনগর গ্রামে তিনি এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
কৃষিমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, দেশের পাহাড়ি অঞ্চল, বরেন্দ্র ও মধুপুর ভাওয়াল অঞ্চলের অনেক জায়গায় বিভিন্ন ফসল উৎপাদন ভালো হয়। এ সকল অঞ্চলে কাজুবাদাম ও কফি চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। তাই কৃষি মন্ত্রনালয় এ সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে কাজ সর্বদা কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, কাজুবাদাম এবং কফির চাষাবাদের সম্ভাবনা সারাদেশের যেসব অঞ্চলে রয়েছে তা যাচাই করা হচ্ছে। সেগুলো চাষের আওতায় আনতে ‘কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২১১ কোটি টাকা।
কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে এ অঞ্চলে রোপণ করা হচ্ছে ৫ জন কৃষকের ৫০ শতাংশ জমিতে কফি ও কাজুবাদামের চারা।
কৃষিমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক ভাবে একজন কৃষকের জমিতে রোবাস্টা ও অ্যারাবিকা জাতের একটি করে কফির চারা রোপণ করেন। এভাবেই তিনি এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, বারির পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড. রিনা রানী সাহা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর টাঙ্গাইলের উপ-পরিচালক আহসানুল বাশার, কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের (বারি অঙ্গ) প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আলতাফ হোসেন প্রমুখ।
এছাড়া কৃষিমন্ত্রী এলোভেরার বাগান পরিদর্শন করেন। ওষুধি গুণসম্পন্ন গাছের চাষ সম্প্রসারণ কর্মসূচির আওতায় চারা বিতরণের মাধ্যমে স্থাপিত হয় এ বাগান।