কৃষিতে ব্যাংকগুলো চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে বেশি ঋণ দিয়েছে। সেপ্টেম্বরে ঋণে গতি ফিরেছে যদিও জুলাই ও আগস্টে ঋণ বিতরণ কম হয়েছে। ফলে ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রথম ত্রৈমাসিকে কৃষি ও পল্লিঋণ বিতরণে। তবে ঋণ-বিতরণ বাড়লেও আদায় কমেছে এ সময়ে। ৫ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা তিন মাসে আদায় হয়েছে।
ঋণ বিতরণ বাড়লেও কমেছে আদায়
জুলাই-সেপ্টেম্বরে গত অর্থবছরে আদায় হয়েছিল ৬ হাজার ২৭৭ কোটি টাকা।
অর্থাৎ ৬৯১ কোটি টাকা আদায় কমেছে।
এ চিত্র পাওয়া গেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে।
এই অর্থবছরে ব্যাংকগুলোর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকার ঋণ বিতরণের।
কৃষি খাতে ঋণ বিতরনের জন্য এই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ব্যাংকগুলোর।
ব্যাংকগুলো ২০২০-২১ অর্থবছরে ঋণ বিতরণ করে লক্ষ্যমাত্রার ৯৭ শতাংশ।
যদিও সেই অর্থবছরে কৃষি ও পল্লি খাতে ব্যাংকগুলোর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৬ হাজার ২৯২ কোটি টাকার ঋণ বিতরণের।
এ খাতে অর্থবছর শেষে ২৫ হাজার ৫১১ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ হয়।
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে ব্যাংকগুলো ৫ হাজার ২১০ কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণ করেছে প্রথম তিন মাসে।
যা ১১ দশমিক ২৩ শতাংশ বেশি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায়।
যার পরিমাণ টাকার অংকে ৫২৬ কোটি টাকা।
গত অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ব্যাংকগুলো ৪ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা বিতরণ করেছিল কৃষি ও পল্লিঋণ খাতে।
অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইতে কৃষিঋণ বিতরণ হয় ৯৪২ কোটি ও আগস্টে ১ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা।
কিন্তু সেপ্টেম্বরে কৃষি খাতে ২ হাজার ৫৩৬ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ হয়।
এতে ব্যাংকগুলো বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার ১৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ ঋণ দিয়েছে তিন মাসে।
গত বছর এপ্রিলে কৃষি খাতের জন্য করোনাভাইরাসের বিপর্যয় কাটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে।
এ তহবিল থেকে বিভিন্ন খাতে ঋণ বিতরণ করা হয়।
হর্টিকালচার, ফুল, ফল, মৎস্য, পোলট্রি, ডেইরি ও প্রাণিসম্পদ খাতে ৪ হাজার ২৯৫ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করা হয় গত ৩০ জুন পর্যন্ত।
করোনা পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি এর মধ্যে।
যার ফলে আরও ৩ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত সেপ্টেম্বরে।
ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক বর্গাচাষিরা ২ লাখ টাকা পর্যন্ত কোন জামানত ছাড়াই ঋণ নিতে পারবেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই তহবিলের মেয়াদ হবে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।