কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক (এমপি) বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান বৈশ্বিক মহামারী করোনার প্রভাবে খাদ্য সঙ্কট মোকাবেলায় সর্বাত্নক কর্মসূচি গ্রহন করেছেন।
৫ই জুলাই ( রবিবার) সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে কৃষিমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে অ্যামেরিকান চেম্বার অব কমার্সকে (অ্যামচ্যাম) বাংলাদেশ এর সাথে অনলাইন সাক্ষাতকারে কোভিড-১৯ এর কারনে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক কৃষকের মাঝে সহায়তা কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন করোনার দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বের সাথে বাংলাদেশ ও দেশের কৃষকরাও বিরুপ পরিস্থিতির মুখোমুখি। আর সেটি মোকাবেলায় সরকার কৃষিখাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ভর্তূকিসহ নানা প্রণোদোনা দিয়ে যাচ্ছে।
বোরো ফসল সংগ্রহ করা নিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের ফলে এই দুর্যোগের মাঝেও লক্ষ্যমাত্রার অধিক বোরো ফসল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে।
আর এর মধ্যেই মাঠ পর্যায়ে আউশ ধান বীজ,আমন ধান বীজ ও পাট বীজ কৃষকদের মাঝে সুষ্ঠুভাবে বিতরণ সম্ভব হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, করোনা মহামারীর কারনে উদ্ভুত খাদ্য সঙ্কট মোকাবেলা করতে হলে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর বিকল্প নেই। আর সেই কথা মাথায় রেখেই আমন ও রবি মৌসুমে উৎপাদন বাড়াতে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
আব্দুর রাজ্জাক(এমপি) যুক্তরাষ্ট্র সরকার এবং অ্যামেরিকান চেম্বার অব কমার্সকে (অ্যামচ্যাম) কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র সরকার সবসময়ই করে আসছে।
অ্যামচ্যাম) নিজেদের দায়িত্বশীলতার অংশ হিসেবে কোভিড- ১৯ মহামারির সংক্রমণে আক্রান্ত প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের জন্য ‘কৃষকদের জন্য সহায়তা’ কর্মসূচিটি হাতে নিয়েছে। আর এই কর্মসূচির মাধ্যমে উত্তর পূর্বাঞ্চলের কৃষকেরা উপকৃত হবে।
অ্যামচ্যামের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ এরশাদ আহমেদের সভাপতিত্ব এ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত, সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহমেদ প্রমুখ । অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অ্যামচ্যামের ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল।
উল্লেখ্য যে, অ্যামচ্যাম নিজস্ব সদস্যবৃন্দের স্বতস্ফূর্ত সমর্থন-সহায়তার ভিত্তিতে সাজিদা ফাউন্ডেশনের সাথে যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।