Tuesday, 25 November, 2025

আধুনিক আলু চাষে কীটনাশকের ব্যবহার ও সতর্কতা


আলু চাষে কীটনাশক ব্যবহারের প্রধান লক্ষ্য হলো পোকামাকড় ও রোগবালাই নিয়ন্ত্রণ করা, যা আলুর উৎপাদন ও গুণগত মান বজায় রাখতে সাহায্য করে। সঠিক কীটনাশক নির্বাচন ও প্রয়োগের পদ্ধতি জানতে নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উল্লেখ করা হলো:

আলু চাষে সাধারণ কীটনাশক ও তাদের ব্যবহার

১. লেট ব্লাইট (Late Blight):

আরো পড়ুন
নবান্ন উৎসব ঘিরে বগুড়ার বাজারে নতুন আলু, দাম চড়া ৫০০ টাকা কেজি

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে বগুড়ার বাজারগুলোতে উঠেছে নতুন আলু। উৎসবের আমেজে এই আলুর চাহিদা এখন তুঙ্গে। তবে Read more

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: সময়সূচি প্রকাশ

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে কৃষি গুচ্ছভুক্ত ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। পরীক্ষার তারিখ: ২০২৬ সালের Read more

  • লক্ষণ: পাতা ও কাণ্ডে বাদামি দাগ দেখা যায়, যা পরে কালো হয়ে গাছকে শুকিয়ে ফেলে।
  • নিয়ন্ত্রণ:
    • ম্যানকোজেব (Mancozeb) বা মেটালাক্সিল (Metalaxyl) স্প্রে করুন।
    • প্রয়োগের সময়: প্রথম লক্ষণ দেখার সঙ্গে সঙ্গে।
    • পরিমাণ: প্রতি লিটার পানিতে ২.৫-৩ গ্রাম।

২. কাটওয়ার্ম (Cutworm):

  • লক্ষণ: মাটির কাছে গাছের কাণ্ড কাটার মতো ক্ষতি।
  • নিয়ন্ত্রণ:
    • ক্লোরপাইরিফস (Chlorpyrifos) বা সাইপারমেথ্রিন (Cypermethrin) স্প্রে করুন।
    • মাটিতে কীটনাশক মিশিয়ে ব্যবহার করুন।

৩. অ্যাফিড (Aphid):

  • লক্ষণ: পাতায় কালো দাগ এবং পাতার রস চুষে নেওয়া।
  • নিয়ন্ত্রণ:
    • ইমিডাক্লোপ্রিড (Imidacloprid) বা ডাইমেথোয়েট (Dimethoate) স্প্রে করুন।
    • পরিমাণ: প্রতি লিটার পানিতে ০.৫-১ মি.লি।

৪. পটেটো টিউবার মথ (Potato Tuber Moth):

  • লক্ষণ: আলুর গায়ে ছোট ছিদ্র ও পচন।
  • নিয়ন্ত্রণ:
    • ব্যাসিলাস থুরিনজেনসিস (Bacillus thuringiensis) ব্যবহার করুন।
    • আলু উত্তোলনের পর ভালোভাবে জমি পরিষ্কার করুন।

৫. জাব পোকা:

  • লক্ষণ: গাছের কচি পাতা ও ডাল খায়।
  • নিয়ন্ত্রণ:
    • অ্যাসেটামিপ্রিড (Acetamiprid) বা থায়োমেথোক্সাম (Thiamethoxam) ব্যবহার করুন।
    • নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করুন।

কীটনাশক ব্যবহারে কিছু সতর্কতা:

  1. সঠিক ডোজ ব্যবহার:
    • লেবেলের নির্দেশনা অনুযায়ী সঠিক পরিমাণে কীটনাশক মিশিয়ে প্রয়োগ করুন।
  2. সঠিক সময়ে প্রয়োগ:
    • পোকামাকড়ের আক্রমণ শুরু হওয়ার আগে বা শুরুতেই নিয়ন্ত্রণ করুন।
  3. পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি:
    • বায়োলজিক্যাল কন্ট্রোল বা জৈব কীটনাশক ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
  4. ফসল কাটার আগে পর্যাপ্ত সময় দিন:
    • কীটনাশক প্রয়োগের পর নিরাপদ সময় পার হয়ে গেলে ফসল সংগ্রহ করুন।
  5. প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা:
    • ফসল রোটেশন করুন।
    • আলু সংরক্ষণের আগে ভালোভাবে শুকিয়ে পরিষ্কার করুন।

সঠিক ব্যবস্থাপনা ও কীটনাশকের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করলে আলু চাষে ক্ষতি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। প্রয়োজনে স্থানীয় কৃষি অফিসার বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

0 comments on “আধুনিক আলু চাষে কীটনাশকের ব্যবহার ও সতর্কতা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ