হলুদ একটি মসলা জাতীয় ফসল। এটি ছাড়া কোনভাবেই রান্ন করা সম্ভব নয়। অতি প্রয়োজনীয় ও উপাদেয় হলুদের বাম্পার ফলন হয়েছে রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলায়। বর্তমানে চাষিরা হলুদ সংগ্রহ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। হলুদের বাম্পার ফলন হয়েছে বিধায় এবার চাষিরা খুব খুশি হয়ে আছেন। এ বছর তারা লাভের মুখ দেখবেন বলে আশা করছেন।
লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি উৎপাদন হয়েছে হলুদের
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এবার বাঘা উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক উৎপাদন বেশি হয়েছে।
যার কারণে চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে এবার।
এই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ও বাজার এবং চাতালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাঠে কৃষকরা হলুদ ওঠাতে ব্যস্ত।
কেউ কেউ হলুদ সংগ্রহের কাজ করছেন, তো কেউ তা বস্তা বন্দি করছেন।
অনেক চাষি বিভিন্ন যানবাহনে করে বস্তা বস্তা হলুদ বাজারে বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসছেন।
কিছু ব্যবসায়ীরা আবার কাঁচা হলুদ কিনে চাতালে ইতিমধ্যেই সিদ্ধ করে শুকিয়ে সংরক্ষণ করতে শুরু করেছেন।
আড়ানী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের গোচর মহল্লার হলুদচাষি মজবুল হোসেন, সেলিম উদ্দিন, হাফিজুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ।
তারা তিনজনই প্রায় একই রকম তথ্য দিয়েছেন।
তারা জানান, উপজেলার পাবনা, গাঙ্গীয়া, সোনামুখী, ডিমলা বারী-১ প্রভৃতি জাতের হলুদ চাষ হয়।
এ বছর এ উপজেলায় গাঙ্গীয়া জাতের হলুদ এর ফলন ভালো হয়েছে।
সাধারণভাবে এ জাতের হলুদটি আকারে মোটা হয়।
এর রঙ হবে অন্যান্য যে কোন ধরণের হলুদের তুলনায় অনেক ভালো।
এ জাতের হলুদ প্রতি বিঘা জমিতে ৫০-৫৫ মণ উৎপাদন হয়।
বর্তমানে বাজারে প্রতিমণ কাঁচা হলুদ বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে এক হাজার ২৫০ টাকা পর্যন্ত।
এ বছর হলুদ চাষে জৈব সার ব্যবহার হওয়ায় খুব কম খরচ হয়েছে।
গাঙ্গীয়া জাতের হলুদ চাষে বিঘা প্রতি সার ও বীজসহ খরচ হয় ৮০০ থেকে ১০ হাজার টাকা।
এক বিঘা জমির কাঁচা হলুদ বিক্রি হচ্ছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা করে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান।
এ বিষয়ে কথা হলে তিনি জানান, এ বছর উপজেলায় সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে হলুদের চাষ হয়েছে।
সেই সাথে হলুদ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল আট হাজার ৩০০ টন।