দেশের সামগ্রিক সার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে নিয়ন্ত্রণকক্ষ চালু করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। গতকাল রোববার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ক্রমাগত কাজ করবে এই নিয়ন্ত্রণকক্ষ। কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ সকল তথ্য জানানো হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে এই নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়।
সকাল আটটা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এটি।
সার সংক্রান্ত যেকোনো প্রয়োজনে নিয়ন্ত্রণকক্ষের সাথে যোগাযোগ করা যাবে।
সকলকে এ জন্য অনুরোধ করা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
আরও বলা হয় ফোন নম্বর ব্যস্ত থাকলে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দেওয়ারও।
সার নিয়ন্ত্রণকক্ষে দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তাগণ এবং তাদের ফোন নম্বরও দেয়া হয়।
এগুলো হলো
কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান শেখ বদিউল আলম, যোগাযোগ- ০১৭১৩৫৯৩৪৮৭,
গবেষণা কর্মকর্তা মো. নূরুন্নবী, যোগাযোগ- ০১৭১৬৪৬২২৭৭
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (সার) আমিনুল ইসলাম, যোগাযোগ – ০১৭২৪২৪৫৩৫৪
অতিরিক্ত উপপরিচালক খন্দকার রাশেদ ইফতেখার, যোগাযোগ – ০১৮১৪৯৪৭০৫৪
মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চাহিদার বিপরীতে দেশে সব রকমের সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে।
মন্ত্রণালয় থেকে মজুত থাকা সারের একটি সংক্ষিপ্ত পরিসংখ্যান দেয়া হয়।
যাতে দেখা যায়
ইউরিয়া সারের মজুতের পরিমাণ ৬ লাখ ৫৬ হাজার মেট্রিক টন, এর বিপরীতে চাহিদার পরিমান৬ লাখ ১৯ হাজার মেট্রিক টন।
টিএসপি মজুতের পরিমাণ ৩ লাখ ৯৪ হাজার মেট্রিক টন, যার বিপরীতে চাহিদার পরিমাণ ১ লাখ ১৯ হাজার মেট্রিক টন।
ডিএপি মজুতের পরিমাণ ৮ লাখ ২৩ হাজার মেট্রিক টন যার বিপরীতে চাহিদা ২ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন।
এমওপি মজুতের পরিমাণ ২ লাখ ৭৩ হাজার মেট্রিক টন, যার বিপরীতে চাহিদা ১ লাখ ৩৭ হাজার মেট্রিক টন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত বছরের তুলনায় সারের বর্তমান মজুত বেশি।
বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) বিসিআইসির প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়।
এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৭ আগস্ট পর্যন্ত ইউরিয়া সার বিক্রি হয়েছে ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৭৮৯ মেট্রিক টন।
যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩২ হাজার ৬০০ টন বেশি বলে উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।