লাভের আশায় সাদা সোনা খ্যাত আগাম রসুন চাষে ঝুঁকছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার কৃষকরা। বাজারে রসুনের দাম ভালো থাকায় এমন আগ্রহ চাষিদের। অন্যান্য ফসলের তুলনায় রসুনে লাভও বেশি পাওয়া যায়। আবহাওয়া রসুন চাষের উপযোগী হওয়ার কারণে ফলনও বেশ ভালো হয়।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৩ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে রসুন আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যেই প্রায় ৭৮০ হেক্টর জমিতে আগাম রসুন লাগানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ২ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম রসুন লাগানোর সম্ভবনা রয়েছে। গত বছর উৎপাদিত রসুনের ভালো দাম পাওয়ায় এ বছরও অধিক মুনাফার আশায় কৃষকরা রসুন চাষে ঝুঁকছেন। সেচ ও সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ এবং অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করায় এবার উপজেলায় রসুনের ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষি বিভাগ।
উপজেলার কায়েমপুর, জোয়ার, জুগীরঘোপা, আগ্রা, গুলিয়ারা, কাচিনীয়া, রামনগর ও গোয়ালডিহি গ্রামে ঘুরে দেখা যায়, কেউ কেউ রসুনের বীজ লাগাচ্ছে, কেউ কেউ জমি প্রস্তুত করছে। আবার কেউ কেউ রসুন চাষের জন্যে খড় সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছে। এছাড়াও পাড়ায় পাড়ায় জটলা বেঁধে রসুনের বীজ প্রস্তুত করতে কাজ করছেন বাড়ির মহিলা ও শিশুরা।
কৃষকরা বলেন, ভালো লাভের আশায় অনেকে জমি বর্গা নিয়ে রসুন চাষ করেছেন। গত দুই বছর আগে যেখানে রসুন প্রতি মণের দাম ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা ছিল সেখানে গত বছর সাড়ে ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় বলেন, বর্তমানে উপজেলার কৃষকদের কাছে রসুন একটি অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল হয়ে উঠেছে। খরচ কম ও অধিক লাভ হওয়ায় বর্তমানে এই ফসলের ব্যাপক হারে চাষও করা হচ্ছে। রসুন চাষে কৃষককে উৎসাহিত ও সহযোগিতা করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। আশা করছি এবারও কৃষকরা রসুনের ভাল ফলন ও দাম পাবেন।