Monday, 25 November, 2024

সর্বাধিক পঠিত

মাল্টা চাষে ঝুকে পড়ছেন চাষিরা, শখের বাগান হচেছ বাণিজ্যিক


পঞ্চগড় জেলায় এখন পর্যন্ত মোট ২১ হেক্টর জমিতে মাল্টাবাগান গড়ে উঠেছে। যার মধ্যে বারি-১ জাতের মাল্টা চাষ করছেন বেশির ভাগ চাষিই।

শখের বাগান হচেছ বাণিজ্যিক

মাল্টাচাষি তরিকুল আলম  জানান ২০১৮ সালে নিতান্তই শখের বশে তিনি কৃষি বিভাগের ‘লেবু–জাতীয় ফলের সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প’ থেকে মাল্টার চার সংগ্রহ করেন। এরপর তিনি শখের বশে বাগান করলেও তা এখন বাণিজ্যিক বাগানে রূপ নিয়েছে। তরিকুল বলেন, মাল্টার চারা রোপণের পর ফল আসতে কম সময় লাগে। এক বছরের মধ্যেই গাছে ফল চলে আসে। অন্যদিকে ফল বিক্রি করার ক্ষেত্রেও ঝামেলা নেই বল্লেই চলে। সরাসরি বাগান থেকেই ফল কিনে নিয়ে যান ব্যবসায়ীরা। লাভজনক হওয়ার কারণে ভবিষ্যতে বাগান আরও বড় করার পরিকল্পনা করছেন তিনি।

এদিকে মাল্টাবাগানে মিশ্রবাগান তৈরির চেষ্টাও করছেন অনেকে। পেঁপে, কমলাসহ বিভিন্ন ফলের চারা রোপণ করেছেন মাল্টার বাগানে অনেকেই। যার ফলে মাল্টা চাষের পাশাপাশি চাষিদের জন্য বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।

সৈয়দ মাহফুজুর রহমান জেলার বোদা উপজেলার তেপুকুরিয়া এলাকায় ৬০ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে মাল্টাবাগান করেছেন। ৬০ বিঘা জমির পুরোটা জুড়েই তিনি ৭ হাজার ৪০০টি বারি-১ জাতের মাল্টাগাছের চারা রোপণ করেছেন। কিছু পেঁপেগাছও মাল্টাগাছের মাঝে মাঝে লাগিয়েছেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে কথা হয়। অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানান, মাল্টা চাষের জন্য পঞ্চগড়ের মাটি ও আবহাওয়া অত্যন্ত উপযোগী। এই ফল প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি–সমৃদ্ধ, যার চাহিদাও ব্যাপক। জেলার অনেক কৃষক তাই মাল্টা চাষের দিকে ঝুঁকছেন।

চাষিদের মাঝে কৃষি বিভাগ থেকে চারা, সার, কীটনাশকসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হয় বলে তিনি জানিয়েছেন। চাষিদের পাশে থাকার পাশাপাশি তিনি আশা করছেন একসময় এই জেলায় মাল্টা চাষে বিপ্লব ঘটবে।

0 comments on “মাল্টা চাষে ঝুকে পড়ছেন চাষিরা, শখের বাগান হচেছ বাণিজ্যিক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *