Saturday, 28 June, 2025

সর্বাধিক পঠিত

ভিয়েতনামি নারিকেল-গাছ কেটে ফেলেছেন কৃষি উদ্যোক্তা


তরুণ উদ্যোক্তা সেলিম রেজা। তিনি ফল উৎপাদনে প্রযুক্তির ব্যবহার, দেশীয় ফলের প্রসার এবং সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করছেন। নাটোরের এই কৃষি উদ্যোক্তা তার বাগানে ভিয়েতনামি নারিকেল-গাছ কেটে ফেলেছেন

নাটোরের আহমেদপুর ও ডালসড়কে ‘দৃষ্টান্ত অ্যাগ্রো ফার্ম অ্যান্ড নার্সারি’র মালিক সেলিম রেজার প্রায় দেড় শ বিঘার বিভিন্ন ফলের বাগান রয়েছে।

কৃষিতে বিশেষ অবদানের জন্য জাতীয় পর্যায়ে ১১টি পুরষ্কার পেয়েছেন।

আরো পড়ুন
কবুতর পালনে করনীয় ও লক্ষনীয়

অনলাইনে কবুতরের জাত নিয়ে প্রচুর কৌতূহল দেখা যায়। শুধু গিরিবাজ বা সিরাজি নয়, আরও অনেক ধরনের কবুতর বাংলাদেশে জনপ্রিয়। এদের Read more

ফলের ঘ্রাণে মাতোয়ারা জনপদ: এক অনন্য উৎসব ‘ফল মেলা’

বাংলার বাতাসে যখন আমের সুবাস, কাঁঠালের ঘ্রাণ আর জাম-লিচুর মিষ্টি রসে ভরে ওঠে জনপদ, তখনই দেশের প্রতিটি অঞ্চলে বসে এক Read more

যার মধ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পেয়েছেন।

এগুলি সহ তার ঝুলিতে রয়েছে আরও অনেক পুরষ্কার।

কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা, ভারতসহ স্থানীয় পর্যায়ের ৭৪টি পুরস্কার।

নিজের বাগানের ১০৭টি ভিয়েতনামি খাটো জাতের নারিকেলগাছ কেটে ফেলেছেন তিনি।

মূলত ফলন না হবার কারণেই তার মনে ক্ষোভ জন্মে।

সেই ক্ষোভের বহি:প্রকাশ হিসেবেই গাছ কেটে ফেলেছেন তিনি।

গত বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার আহমেদপুর এলাকায় থাকা তার বাগানের সব গাছ তিনি কেটে ফেলেছেন।

সেলিম রেজা অভিযোগ করেন, স্থানীয় হর্টিকালচারের কর্মকর্তাদের পরামর্শেই তিনি এই জাতের নারিকেল চাষ করেন।

৬ বছর আগে ভিয়েতনামি খাটো জাতের নারিকেলের ওই চারাগুলো কেনেন।

ঢাকার খামারবাড়ি ও নাটোর হর্টিকালচার সেন্টার থেকে কেনা হয়।

এর পরে চারাগুলো তিনি নাটোরের আহমেদপুর এলাকায় তার নিজস্ব দুই বিঘা জমিতে রোপণ করেন।

তিনি জানান, এক-একটি চারার ক্রয় মূল্য ছিল ৫০০ টাকা।

চারা কেনার সময় বলা হয়েছিল, দুই বছরের মাথায় ফল ধরবে।

কিন্তু এই ছয় বছরে নারিকেল তো ধরেইনি, বরং গাছের গোড়ায় পচন ধরেছে।

সেলিম রেজা অভিযোগ করেন, অধিক ফলন হবে ভিয়েতনামি খাটো জাতের নারিকেলের।

এমন আশ্বাস দিয়ে নাটোর হর্টিকালচার সেন্টারের কর্মকর্তারা প্রচারণা চালান।

নাটোরের প্রথম কৃষক হিসেবে তাদের কথায় বিশ্বাস করে তিনি সেই নারিকেলগাছ রোপণ করেন।

ছয় বছরে অন্তত ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

তার ভাষ্যমতে, গাছ বড় হয়েছে, কিন্তু কোন নারিকেল ধরেনি গাছে।

তাই তিনি গাছগুলোকে কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এই উদ্যোক্তা সকলকে সতর্ক করেন চটকদার বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে কোনো উদ্যোক্তা যেন প্রতারিত না হন।

সেলিম রেজা আরও বলেন, কোন গাছ এ দেশের আবহাওয়া উপযোগী, তা যথাযথভাবে জেনে গাছ লাগাতে হবে।

নাটোর হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক মাহমুদুল ফারুক অভিযোগ অস্বীকার করেন।

তিনি বলেন, তিন বছর ধরে এই নারিকেলের চারা বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে।

সঠিক পরিচর্যা না করায় ভিয়েতনামি খাটো জাতের নারিকেলগাছে ফল আসেনি বলে জানান এই কর্মকর্তা।

0 comments on “ভিয়েতনামি নারিকেল-গাছ কেটে ফেলেছেন কৃষি উদ্যোক্তা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ