Wednesday, 03 September, 2025

বিদ্যুৎ বিভ্রাটঃ আলুর মান রাখতে হিমসিম খাচ্ছে হিমাগার মালিক


চার টাকা কেজি দরে আলু বিক্রয় হচ্ছে

বিদ্যুৎ বিভ্রাটঃ আলুর মান রাখতে হিমসিম খাচ্ছে হিমাগার মালিক। লোডশেডিংয়ে বিপাকে বগুড়া অঞ্চলের ৫৬ হিমাগার মালিক, বগুড়া ও জয়পুরহাটের অর্ধশতাধিক হিমাগারে প্রতিদিন ১০–১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। তাতে জেনারেটরে সচল রাখতে হচ্ছে এসব হিমাগার। বিদ্যুৎ না পেয়ে আলুর মান ধরে রাখতে বাধ্য হয়ে জেনারেটরের মাধ্যমে হিমাগারগুলো সচল রাখতে হচ্ছে।

হিমাগারের মালিকেরা বলছেন, বিদ্যুৎ–সংকটের কারণে ডিজেলচালিত জেনারেটরে হিমাগার চালু রাখতে গিয়ে দিনে তাঁদের এক লাখ টাকার বেশি বাড়তি খরচ হচ্ছে। তাতে ৫৬টি হিমাগারে দিনে বাড়তি খরচ লাগছে প্রায় ৬০ লাখ টাকা। এত বাড়তি খরচ দিয়ে আলু সংরক্ষণ করা তাঁদের জন্য বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বগুড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বগুড়া ও জয়পুরহাটে গত উৎপাদন মৌসুমে ৯৪ হাজার ৩১৫ হেক্টর জমিতে ২১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৮০ মেট্রিক টন আলু উৎপাদিত হয়েছে। এর মধ্যে দুই জেলার ৫৬টি হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৫ হাজার ২৬৮ মেট্রিক টন।

আরো পড়ুন
ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণে করণীয়: খামারি ও কৃষকের জন্য জরুরি নির্দেশিকা

ক্ষুরা রোগ বা ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ (FMD) একটি অত্যন্ত সংক্রামক ভাইরাসজনিত রোগ, যা গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও শুকরের Read more

কাজু ও কফি: যেভাবে বদলে যাচ্ছে পাহাড়ের অর্থনীতি

পাহাড়ের কৃষিতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে কাজু বাদাম ও কফি চাষ। একসময় আমদানিনির্ভর এই দুটি ফসল এখন দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ Read more

লোডশেডিং শেষে বিদ্যুৎ আসার পর হিমাগারের শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র পুরোপুরি সচল করতে কমপক্ষে তিন ঘণ্টা সময় লাগে। এক ঘণ্টা পরপর লোডশেডিং হওয়ায় মেশিনই ঠিকমতো চালু করা যাচ্ছে না বলছেন পরিমল প্রসাদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক , আরবি স্পেশালাইজড কোল্ডস্টোরেজ।

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পুনট কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাপক বিপ্লব কুমার ঘোষ জানান, গত মঙ্গলবার সব মিলিয়ে পৌনে ১০ ঘণ্টা লোডশেডিং ছিল। আর বুধবার লোডশেডিং ছিল ১২ ঘণ্টা ২৫ মিনিটের। বিপ্লব কুমার ঘোষ বলেন, তাঁদের হিমাগারে বর্তমানে ২ লাখ ৮৪ হাজার বস্তা (প্রতি বস্তায় ৬০ কেজি) আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে। এসব আলু যাতে নষ্ট না হয়, সে জন্য জেনারেটরের মাধ্যমে হিমাগার সচল রাখা হচ্ছে। তাতে প্রতিদিন গড়ে এক লাখ টাকার বেশি বাড়তি খরচ হচ্ছে জ্বালানি বাবদ। অথচ ৬০ কেজি ওজনের এক বস্তা আলু সংরক্ষণ ভাড়া ৩০০ টাকা। এভাবে জেনারেটর চালু রেখে হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করতে গেলে খরচ দ্বিগুণ বেড়ে যাবে।

0 comments on “বিদ্যুৎ বিভ্রাটঃ আলুর মান রাখতে হিমসিম খাচ্ছে হিমাগার মালিক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ