Sunday, 07 December, 2025

পদ্মা সেতু সুবিধার ফলে ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জের মাছ চাষিদের আয় বাড়ার সুযোগ


পদ্মা সেতু দিয়ে সরাসরি ঢাকার আড়তে মাছ বিক্রি করে আরও বেশি লাভবান হবেন বলে আশা করছেন ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জের মৎস্য চাষিরা।

নিচু জলাভূমি বেষ্টিত ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলায় ধানের পর চাষিদের আয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তর খাত মাছ। গোপালগঞ্জ জেলার পাঁচ উপজেলার প্রায় ১৭ হাজার চাষি মাছ চাষ করে সাবলম্বী হয়েছেন। মিষ্টি পানিতে গোপালগঞ্জে উৎপাদিত মাছ খেতে খুবই সুস্বাদু। তাই সারা দেশে এ মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

জেলার চাষিরা বলছেন, বর্তমানে তাদের উৎপাদিত মাছ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয় মধ্যস্বত্বভোগীর মাধ্যমে; এতে তারা ন্যায্য দাম পান না। পদ্মা সেতু চালু হলে সরাসরি ঢাকার আড়তে নিয়ে মাছ বিক্রি করবেন তারা। এতে তাদের আয় ২০০ কোটি টাকার বেশি বাড়বে।

আরো পড়ুন
অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে ‘জিরো টলারেন্স’ নিশ্চিত করতে হবে: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে ‘জিরো টলারেন্স’ নিশ্চিত করতে হবে

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার ও অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিশ্চিত করতে সকলকে একসাথে Read more

কৃষি অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড: স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও চ্যানেল আইয়ের যৌথ উদ্যোগে ১১ জনকে সম্মাননা!
কৃষি অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড: স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও চ্যানেল আইয়ের যৌথ উদ্যোগে ১১ জনকে সম্মাননা!

কৃষিতে বিশেষ অবদানের জন্য আটজন ব্যক্তি ও তিনটি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দিয়েছে বহুজাতিক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক (এসসিবি) এবং চ্যানেল আই। সারাদেশে Read more

গোপালগঞ্জে বাড়বে ২০৫ কোটি টাকার মাছ ব্যবসা

গোপালগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পাঁচ উপজেলায় ১১৪টি বিল, ১২৫টি খাল, পাঁচটি নদী ও ছয়টি বাঁওড় রয়েছে। এ সব উৎস থেকে প্রতি বছর ১০ হাজার মেট্রিক টন পুঁটি, ট্যাংড়া, শৈল, মাগুর, কই, শিং, টাকি, খলিশা, গজার, রুই, কাতলা, বোয়াল, আইড়, চিংড়ি, ইলিশ ও নান্দেলসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ উৎপাদিত হয়।
জেলার ১৬ হাজার ৯৯৮টি পুকুর ঘের ও মৎস্য খামারে ১৬ হাজার ১৮৫ জন খামারি ৩০ হাজার ২০০ মেট্রিক টন রুই, কাতলা, মৃগেল, পাঙ্গাস, তেলাপিয়া, ও কার্পসহ বিভিন্ন মাছের উৎপাদন করেন। এ ছাড়া এক হাজার খামারি এক হাজার ঘেরে ৭৫২ মেট্রিক টন চিংড়ি উৎপাদন করেন। সব মিলিয়ে জেলায় ৪০ হাজার ৯৫২ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়।
প্রতি কেজি মাছ গড়ে ২০০ টাকা দরে চাষি ও মৎস্যজীবীরা বিক্রি করেন। সে হিসেবে এ জেলায় ৮১৯ কোটি চার লাখ টাকার মাছ উৎপাদিত হয়।

পদ্মা সেতু চালু হলে চাষিরা সরাসরি ঢাকায় মাছ বিক্রি করতে পারবেন। প্রতি কেজি মাছে তারা অন্তত ৫০ টাকা বেশি পাবেন। সে হিসেবে গোপালগঞ্জে মাছে আয় ২০৫ কোটি টাকা বাড়বে।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাজুলিয়া গ্রামের মৎস্যচাষি হাফিজুর রহমান বলেন, “আমরা বিলের শ্যাওলা, গমের ভুসি ও চালের কুড়া দিয়ে কার্প জাতীয় মাছ চাষ করি। তাই আমাদের মাছের স্বাদ নদী বা বিলের মাছের মতই। সারাদেশে আমাদের মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আমরা সরাসরি ঢাকার কারওয়ান বাজারে এই মাছ নিয়ে বিক্রি করতে পারি না। মাছ পাঠালে ঘাটেই পচে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল।

“পদ্মা সেতু চালু হলে আমরা সরাসরি ঢাকায় মাছ বিক্রি করতে পারব। এতে আমরা প্রতি কেজি মাছে ৫০ থেকে ৭৫ টাকা বেশি পাব। বেশি দামে মাছ বিক্রি করে পরিবহন খরচ বাদেও বছরে আরও অন্তত ২০ লাখ টাকা অতিরিক্ত আয় করতে পারব।”

সূত্র : বিডিনিউজ

0 comments on “পদ্মা সেতু সুবিধার ফলে ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জের মাছ চাষিদের আয় বাড়ার সুযোগ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ