দেশে বছরে এক কোটি টনের বেশি উন্নত জাতের আলু উৎপাদন হয়। দেশে চাহিদা রয়েছে ৬০-৭০ লক্ষ টনের মতো। দেশে উৎপাদিত আলুতে পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় বিদেশে চাহিদা কম। সেজন্য বিদেশে চাহিদার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে রপ্তানি ও শিল্পে ব্যবহারযোগ্য আলুর আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। কৃষি মন্ত্রণালয় সে লক্ষে নিরলস কাজ করছে।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে নীলফামারীর ডোমারে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) বীজ আলু উৎপাদন খামার পরিদর্শন শেষে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এ কথা বলেন।
এদিনে তিনি রপ্তানি ও শিল্পে ব্যবহারযোগ্য আলুর প্লট, আলু ফসলের মিউজিয়াম, ড্রাগন ও খেজুর বাগান প্রভৃতি পরিদর্শন করেন।
এছাড়া দেবীগঞ্জের তিস্তাপাড়ায় কাজুবাদাম, মিষ্টি আলু, কফি চাষ, প্রসেসিং ও কৃষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও বারির বীজবর্ধণ খামার, গম ও ভুট্টা বীজ উৎপাদন খামার পরিদর্শন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি সচিব মেসবাহুল ইসলাম, বিএডিসির চেয়ারম্যান সায়েদুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আসাদুল্লাহ, বারির মহাপরিচালক নাজিরুল ইসলাম, গম ও ভুট্টা গবেষনা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এছরাইল হোসেন, জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ।
মন্ত্রী বলেন, বিএডিসি মান সম্মত আলু বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ এবং কৃষক পর্যায়ে বিতরণ জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় ডোমার খামারে ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন করা হচ্ছে। পাশাপাশি নতুন জাতের উপযোগীতা যাচাইয়ের জন্য ট্রায়াল প্লট স্থাপন ও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ২৮টি জোনে চুক্তিবদ্ধ চাষি’র মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে ব্যবহৃত বীজআলু উৎপাদন করা হচ্ছে।
এ প্রকল্পের আওতায় উচ্চ ফলনশীল, রপ্তানি ও শিল্পে ব্যবহার উপযোগী আলু জাত পরিচিতি ও জনপ্রিয়করণের জন্য বিএডিসি আমদানীকৃত এবং বারি উদ্ভাবিত সম্ভাবনাময় ২০টি জাত নিয়ে এ বছর সারাদেশে ৩০০টি প্রদর্শণী প্লট ও মাল্টিলোকেশন টেস্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।
২০২০-২১ উৎপাদন বর্ষে বিভিন্ন মানের ৩৭ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন বীজ আলু এবং ৫ হাজার মেট্রিক টন রপ্তানী উপযোগী আলুসহ মোট ৪২হাজার ৫০০ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।