Saturday, 02 August, 2025

রাজশাহীতে ডিমের দাম নেই, বিপাকে খামারি-ব্যবসায়ী


রাজশাহীতে সব ধরনের ডিমের দাম হালিতে প্রতি ৪-১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। দাম কমায় বিপাকে পড়েছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা।

শনিবার (১ মে) মাসের শুরুতেই রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ডিমের দোকানগুলোতে পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও নেই ক্রেতা। এতে অতিরিক্ত গরমে ডিম নষ্ট হবার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

ডিম বিক্রেতারা জানান, বাজারে সাদা ডিমের দাম কমে ২২ টাকা হালি হয়েছে। এছাড়াও কমেছে লাল ডিমসহ দেশি মুরগী ও হাঁসের ডিমের দাম। এ সপ্তাহে ছয় টাকা কমে লাল ডিমের হালি হয়েছে ২৬ টাকা। তবে কোয়েলের ডিম হালি প্রতি দুই টাকা কমে হয়েছে ১০ টাকা।

আরো পড়ুন
২৫ টি বিপজ্জনক বালাইনাশকে হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্যঃবাকৃবি

মানুষের মৌলিক চাহিদা খাদ্যের উৎপাদনই এখন মারাত্মক ঝুঁকিতে। অধিক ফলনের আশায় কৃষিতে হাইব্রিড ও উচ্চফলনশীল জাতের ফসলের ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে Read more

বীজ উদ্ভাবনের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়নে এসিআই-এর অগ্রণী ভূমিকাঃ ড. এফ এইচ আনসারী

বাংলাদেশের কৃষি খাতে গত তিন দশকে অসাধারণ অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এই অগ্রগতির সাক্ষী হিসেবে আমি এই খাতের একজন কর্মী হিসেবে Read more

এদিকে দেশি মুরগীর ডিমের দাম কমেছে পাঁচ টাকা করে। কিছুদিন আগেও ৫৫ টাকা হালি হলেও এখন ৫০ টাকা হালিতে কিনেতে পারছেন ক্রেতারা। দাম কমেছে হাঁসের ডিমেরও। হালি প্রতি ১২ টাকা কমে দাম হয়েছে ৪০ টাকা।

নগরীর সাহেব বাজারের ডিম ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘এখন ডিমের দাম অনেক কম। তারপরও মানুষ ডিম কিনছে না। শহরের বিভিন্ন মেস বন্ধ থাকার কারণে ডিমের চাহিদা কমে গেছে। তাই ডিম নিয়ে বিপাকে পড়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আমি গোদাগাড়ী থেকে ডিম নিয়ে আসি। দুই ভ্যানে এক হাজার করে ডিম থাকতো। একদিনেই এগুলো বিক্রি হয়ে যেত। কোনোদিন অবশ্য দুইদিন লাগতো বিক্রি হতে। তবে এখন ডিম ১৫ দিনেও শেষ হচ্ছে না।’

ডিমের চাহিদা কমার কারণ হিসেবে খামারিরা দুষছেন করোনাকালীন লকডাউনকে। নগরীর বিভিন্ন খুচরা ও পাইকারি ডিম ব্যবসায়ী ও খামারীদের ভাষ্য, ‘শুধু মেসই নয়, নগরীর বিভিন্ন খাবার হোটেল ও চাইনিজ রেস্টুরেন্টে প্রতিদিন হাজার হাজার ডিম বিক্রি হতো। এখন হয় না লকডাউনের কারণে। লকডাউনের পর থেকে ডিমের চাহিদা একেবারেই শূন্যে নেমে গেছে।’

0 comments on “রাজশাহীতে ডিমের দাম নেই, বিপাকে খামারি-ব্যবসায়ী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ