Friday, 26 September, 2025

মাগুরায় সিডলেস কুল চাষ সফল নাসির


মাগুরা সদর উপজেলার দ্বারিয়াপুর গ্রামের নাসির আহম্মেদ দেশে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে সিডলেস কুল চাষ শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে দুই একর জমির কুল ছয় লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন। আরও দুই একর জমির কুল এবং গাছের চারাও বিক্রি করছেন তিনি।

নাসির অ্যাগ্রোফার্ম অ্যান্ড নার্সারির মালিক নাসির আহম্মেদ বলেন, মৌসুমের শুরুতে ৪ একর জমিতে দুই হাজার বিচিহীন (সিডলেস) চারা রোপণ করি। ৪-৫ মাসের মধ্যে ফুল আসে এবং প্রচুর পরিমাণে কুল ধরে। আমার বাগান থেকে এ কুল হারভেস্ট করা শুরু হইছে। স্থানীয় কিছু ব্যাপারিসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে আমার এখান থেকে কুল যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এ কুল দেখতে অনেকাংশে লাল, কিছুটা সবুজ। দেশি কুলের থেকে এর স্বাদ খুবই মিষ্টি। সাধারণ দেশি কুলের ভেতরে আঁটি বা বিচি থাকে কিন্তু এ কুলের ভেতরে তা নেই। বিচি না থানায় বাজারে এই কুলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে কুল ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।

আরো পড়ুন
ধানের বাম্পার ফলন: ফুল ফোটার সময় কৃষকের করণীয়

বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য ধান। এ দেশের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা এই ফসলের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। ধানের ফলন বাড়াতে হলে এর Read more

ঢাকায় শুরু হলো আগ্রোফরেস্ট্রি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং গ্রামীণ জীবিকা উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকায় শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক বিশেষজ্ঞ বৈঠক। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) Read more

মাগুরার নতুন বাজার ফল ব্যবসায়ী সবুজ হোসেন বলেন, নাসির অ্যাগ্রোফার্ম অ্যান্ড নার্সারি থেকে কুল নিয়ে ১১০-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। এ কুলের ব্যাপক চাহিদা ভালো। আমরাও লাভবান হচ্ছি।

মাগুরা উদ্যানতত্ত্ববিদ মনিরুজ্জামান বলেন, প্রথমবারের মতো মাগুরাতে এ কুলের চাষ হয়েছে। নাসির আহম্মেদকে কৃষি বিভাগ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। এ কুলের জাতের চাষ সম্প্রসারণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০১৬ সালে ফলের চাষ শুরু করেন নাসির আহম্মেদ। প্রথমে ৫ শতাংশ জমিতে চাষ করলেও বর্তমানে তিনি ১০০ বিঘা জমিতে চাষাবাদ করছেন। প্রতিদিনই বিভিন্ন মানুষ তার নার্সারি দেখতে আসে।

0 comments on “মাগুরায় সিডলেস কুল চাষ সফল নাসির

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ