কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মুনাফা লাভের আশা দেখলেও লকডাউনের কারণে দুশ্চিন্তায় সিলেটের বিশ্বনাথের গরু খামারিরা।
স্থানীয় গরু খামারি ও ব্যবসায়ীরা জানান, করোনা সংক্রমণের কারণে গত বছরেও তারা ব্যবসা করতে পারেননি। এবারও যদি একই অবস্থা হয়, তাহলে পথে নামা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।
এদিকে, গত বছরের মতো এ বছরও এলাকায় প্রবাসী শূন্য। প্রতি বছর কোরবানির ঈদ আসলে এলাকার অনেক প্রবাসী পরিবার নিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ছুটে আসতেন দেশে। কিন্তু গত বছর ও এ বছর করোনা সংক্রমণের কারণে প্রবাসীরা কোরবানির ঈদে দেশে আসতে নারাজ।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ছোটবড় মিলে প্রায় দুইশত জন খামারি আছেন যারা প্রতি বছর গরু পালন করে কোরবানির সময় বিক্রয় করে থাকেন। কিন্তু এ বছর মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের কাজ না থাকায় তাদের হাতে অর্থ নেই। তাই গরু কোরবানির জন্য ক্রেতাদের মধ্য তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। ফলে হতাশার মধ্যে দিনযাপন করছেন খামারিরা।
মা এগ্রো ফার্মের পরিচালক নূর উদ্দিন বলেন, প্রতি বছরের মতো এ বছরেও আমার খামারে ৪০টি গরু আছে যা কোরবানি ঈদে বিক্রি করব বলে রেখেছি। সামনে ঈদ কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ক্রেতা পাচ্ছি না। অথচ অন্যান্য বছরের এই সময় আমরা বেশিরভাগ গরু বিক্রি করে দিয়েছি। কিন্তু এখনও মাত্র দুটি গরু বিক্রি করেছি। এবার গরু বিক্রি করতে পারব কি না সেটা নিয়ে খুবই চিন্তায় আছি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডা. আব্দুস শহীদ বলেন, উপজেলায় মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে খামারিরা চরম বিপাকে পড়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অনলাইন বিশ্বনাথ গরু হাট নামে একটি পেজ খোলা হয়েছে। এই পেজে খামারিরা গরুর ছবি ও দাম লিখে দিয়ে তাদের গরু বিক্রয় করতে পারবেন। আমরা সার্বক্ষণিক গরুর খামারিদের খামারে গিয়ে গরু পালনের বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করে আসছি।