সরকার দেশে সার ব্যবস্থাপনায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকবান্ধব ও কৃষকদরদী। সরকার একদিকে যেমন সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করছে, অন্যদিকে তেমনি চার দফায় সারের দামও অনেক কমিয়ে কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে। ফলে কৃষি উৎপাদনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ এই সারের জন্য কৃষককে এখন কোনো কষ্ট করতে হয় না।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সারবিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির ভার্চুয়াল সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সভায় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মতিয়া চৌধুরী, সংসদ সদস্য মো. আব্দুল হাই, সংসদ সদস্য মো. জোয়াহেরুল ইসলাম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম ও অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) মো. মাহবুবুল ইসলামসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী অর্থবছরে (২০২১-২২) চাষাবাদের জন্য ৬৬ লাখ টন রাসায়নিক সার প্রয়োজন হবে। সভায় নিবিড় ও সম্প্রসারিত চাষাবাদের প্রয়োজনে ২০২১-২২ অর্থবছরে রাসায়নিক সারের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে মোট ৬৬ লাখ টন। এর মধ্যে ইউরিয়া ২৬ লাখ টন, টিএসপি ৭ লাখ টন, ডিএপি ১৬ লাখ ৫০ হাজার টন ও এমওপি ৭ লাখ ৫০ হাজার টন।
২০২০-২১ অর্থবছরে সারের চাহিদা ছিল ইউরিয়া ২৫ লাখ ৫০ হাজার টন, টিএসপি ৫ লাখ, ডিএপি ১৫ লাখ টন ও এমওপি ৭ লাখ ৫০ হাজার টন।