রেড লেডি একটা পেপের জাত। স্থানীয়রা বলেন, লাল সুন্দরী। কৃষকের জমি জুড়ে দেখা গেছে লাল সুন্দরীর হাসি। গাছে গাছে ফলের সমাহার। কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কালাকচুয়ায় এ দৃশ্য দেখা গেছে। রেড লেডি পেঁপের ভালো ফলন ও দাম পেয়ে খুশি অনেক কৃষক।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে পেঁপে বাগান। বাগানটি ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ব্যবস্থাপনা বিভাগে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা কৃষক মহসিনের। তার মুরগি ও গরুর খামার রয়েছে, সঙ্গে পারিবারিক খালি জমিতে দুই বছর ধরে পেঁপের চাষ করছেন। ৬০ শতক জমি চাষে ব্যয় হয়েছে দুই লাখ টাকা। ইতোমধ্যে এক লাখ টাকার বেশি পেঁপে বিক্রি করেছেন। আশা করছেন আরও ৫-৬ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবেন। সকালে পেঁপে সংগ্রহ করে জমির আইলেই বিক্রি করছেন। পাইকারি প্রতি কেজি বিক্রি করছেন ৭০-৭৫ টাকা দরে।
উদ্যোক্তা মো. মহসিন বলেন, আমরা চাচাতো ভাইয়েরা মিলে বড় যৌথ পরিবার। অনেকে বিদেশে কর্মরত। কেউ পদস্থ কর্মকর্তা। নিজেও দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলাম। নিজেদের পারিবারিক অনেক জমি খালি পড়ে ছিল। মুরগি ও গরুর খামার করেছি, সঙ্গে দুই বছর ধরে পেঁপে চাষ করছি। লেগে ছিলাম তাই সফলতাও এসেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার আফরিনা আক্তার বলেন, মো. মহসিন একজন শিক্ষিত উদ্যোক্তা। তার বাগানটি আমরা পরিদর্শন করেছি। বাগানটির অবস্থা ভালো। আমাদের উপসহকারী কর্মকর্তা তাকে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছেন। তাদের মতো উদ্যোক্তারা এগিয়ে এলে বাণিজ্যিক কৃষি আরও সমৃদ্ধ হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কুমিল্লার উপ-পরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন, পেঁপে ফল ও সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। এর পুষ্টিমানও অনেক। কুমিল্লায় ১৫ হেক্টরের বেশি জমিতে পেঁপের চাষ হয়েছে। আমরা মহসিন সাহেবের মতো উদ্যোক্তা তৈরির জন্য কাজ করছি। শিক্ষিত উদ্যোক্তার মাধ্যমে বাণিজ্যিক কৃষিকে দ্রুত এগিয়ে নেওয়া যায়।