মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে নেপালের বিদ্যুৎ পানি ও কৃষিমন্ত্রী পম্পা ভূসালের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎ শেষে কৃষিমন্ত্রী মন্তব্য করেন ‘আলুর ন্যায্য দাম পেতে চাষিদের কীভাবে সহযোগিতা করবেন তা জানেন না । একইসঙ্গে বিধিনিষেধ তুলে নিলেও ইউক্রেন সংকটের কারণে রাশিয়ায় আলু রপ্তানি করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি উত্তরাঞ্চলের একটি জেলায় ন্যায্য দাম না পেয়ে মহাসড়কে আলু ফেলে প্রতিবাদ করেছে চাষিরা।
এ বিষয়ে কি ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছেন জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে বাংলাদেশে যা হয়, এখন দেখেন কৃষকেরা পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারছেন না। আলুরও একই অবস্থা। গত বছর দাম বেশি ছিল, এ বছর আবার এ অবস্থা। উৎপাদন একটু বেশি হলে চাষিরা বিক্রি করতে পারে না। ফলে ইচ্ছে করলেই আলুর দাম বাড়াতে পারছি না।
তিনি বলেন, আমাদের কোনো উপায় নেই। এই মুহূর্তে আলুর খুবই সীমিত রপ্তানি। অনেক দেশে আলু উৎপাদন হয়। ইউরোপিয়ান দেশগুলোও এরকম আলু আমদানি করে না। রাশিয়া করতো। এখন সেখানে যুদ্ধ। তারা আলু আমদানি উন্মুক্ত করেছে কিন্তু ব্যাংকিং সিস্টেম নেই। এখন যুদ্ধের জন্য রপ্তানি সম্ভব না।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমি জানি না আমরা কীভাবে চাষিদের সহযোগিতা করবো। তবে আমাদের চেষ্টার কোনো শেষ নেই। মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে আলুর রপ্তানি বাড়ানো ও এগ্রো প্রসেসিং করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছি। যেমন- পেপসি কোম্পানি লেচ বিদেশ থেকে আসে, তারা সেটা বাংলাদেশে করবে। বোম্বে সুইটসসহ অন্যান্যরা আলুসহ অন্যান্য প্রোডাক্ট এগ্রো প্রেসেস করছে। আরো এক-দুই বছর লাগবে। ইনশাল্লাহ আলুর ব্যাপক ব্যবহারও হবে। আলুর মার্কেটিং অনেক সহজ হবে।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ মুহূর্তে দুটো দেশ রাশিয়া ও শ্রীলঙ্কায় কিছু আলু রপ্তানি হতো। কিন্তু শ্রীলঙ্কার অবস্থা খুবই খারাপ। এখন রপ্তানি করলে তারা পেমেন্ট করতে পারবে না। আর রাশিয়ায় যুদ্ধের কারণে আমাদের সমস্যা হচ্ছে। না হলে রাশিয়া বাংলাদেশের আলুর ওপর যে বিধিনিষেধ দিয়ে রেখেছিল সেটা তারা উঠিয়ে নিয়েছে।