দেশের কৃষিতে যোগ হলো মিষ্টি আলুর নতুন একটি জাত। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং পলিফেনল যুক্ত ‘পার্পল স্টার’র পর ফের অধিক ফলনশীল মিষ্টি আলুর নতুন জাত ‘অরেঞ্জ স্টার’ এল এবার চাষিদের হাতে। সাধারণত বেলে-দোআঁশ মাটিতে ভালো হয়। এই মিষ্টি আলু চাষে প্রয়োজন হয় না বিশেষ পরিচর্যার। এছাড়া এই ফসলের পুষ্টিমান অন্য গুলোর থেকে অনেক অনেক বেশি।
মিষ্টি আলুর গুণাগুণ
প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে মিষ্টি আলুতে।
এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
ডায়াবেটিস হলে মিষ্টি আলু এড়িয়ে যান অনেকেই।
বিশ্বে ৪০০ রকমের মিষ্টি আলুর প্রজাতি রয়েছে।
এর মধ্যে স্বাস্থ্য উপকারিতা সবচেয়ে বেশি জাপানি ও বেগুনি মিষ্টি আলুর।
সর্বদা মাঝারি আকারের মিষ্টি আলু খাবার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
সালাদ বা ভেজিটেবলের সঙ্গে খাওয়া যায়। বিভিন্নভাবে মিষ্টি আলু খাবারে যুক্ত করা যেতে পারে।
ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকায় হজম শক্তিতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
শরীর দীর্ঘক্ষণ ঠাণ্ডা থাকে এবং পেটও দীর্ঘক্ষণ ভর্তি রাখে মিষ্টি আলু।
এ কারণে এটি শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। এবং এটি ওবেসিটি হ্রাস করে।
রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যান তত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল ফয়েজ মো. জামাল উদ্দীন।
তিনি তার ‘পজিটিভ সিলেকশন’র মাধম্যে দীর্ঘ সময় গবেষণা করছেন।
তার দীর্ঘ গবেষণার পর দেশের মাটিতে অভিযোজন করাতে সক্ষম হয়েছেন এই জাতের আলু।
এ বিষয়ে তার সাথে কথা হয়।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মিষ্টি আলু ‘কমলাসুন্দরী’।
এর চেয়ে ‘অরেঞ্জ স্টার’ গঠনগত ও উৎপাদনশীলতায় ভিন্ন।
এটি উচ্চফলনশীল মিষ্টি আলুর জাত বলে তিনি দাবি করেন।
এর বাইরের ও ভেতরের রঙ কমলা (অরেঞ্জ)। এর এই রং থেকেই এমন নামকরণ করা হয়েছে।
অরেঞ্জ স্টার জাতের মিষ্টি আলুর হেক্টরপ্রতি ফলন ৫০-৫২ টন।
যা দেশীয় উচ্চফলনশীল জাতগুলোর চেয়ে অনেক বেশি, অন্তত ৮-১০ টন বেশি বলে দাবি তার। এ ছাড়া সাধারণ সাদা আলুর চেয়ে এর মিষ্টতাও অনেক বেশি।”
জাতীয় বীজ বোর্ড গত ৯ আগস্ট জাতটিকে নিবন্ধন করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নামানুসারে জাতটির নাম দেওয়া হয়েছে। এর বর্তমান নামকরণ করা হয়েছে SAU SWEET POTATO 2 বা ‘অরেঞ্জ স্টার’।
জাপান হলো জাতটির উৎস দেশ।
জাপান থেকে জারমপ্লাজম সংগ্রহ করা হয়। এর পর পজিটিভ সিলেকশন করা হয়। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ এটিকে বাণিজ্যিক চাষের উপযোগী করে তোলা হয়েছে।