নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ফুলের ঘাট এলাকার পান চাষের এই চিত্র সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। পান চাষ একটি লাভজনক ফসল হওয়ায় এটি ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কৃষক মজনু মিয়ার অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায়, সঠিক পরিকল্পনা এবং কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে কাজ করলে এই চাষ থেকে ভালো আয় করা সম্ভব।
তাছাড়া পান চাষে রাসায়নিক সারের কম ব্যবহার এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। চাষীদের শ্রম আর মনোযোগে গড়ে ওঠা এই বরজগুলো এলাকার কৃষি অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে।
এ ধরনের উদ্যোগ স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে পান চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়িয়ে তুলছে এবং অন্যদের জন্যও একটি সফল উদাহরণ তৈরি করছে। দীর্ঘমেয়াদে এমন চাষ পদ্ধতি শুধু অর্থনৈতিক দিক থেকেই নয়, বরং টেকসই কৃষি ব্যবস্থার জন্যও সহায়ক হতে পারে।
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ফুলের ঘাট এলাকার পান চাষীরা এখন ক্রমশই সফলতার দৃষ্টান্ত হয়ে উঠছেন। আবুল হোসেন ও রাজু মিয়ার অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায়, পান চাষে প্রাথমিক বিনিয়োগ বেশি হলেও দীর্ঘমেয়াদে এই ফসলটি অত্যন্ত লাভজনক। একবার চারা রোপণের পর প্রতিবছর শুধুমাত্র বরজ সংস্কার এবং পরিচর্যার জন্য কিছুটা খরচ করতে হয়।
রাজু মিয়ার বাজার ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বোঝা যায়, পানের চাহিদা এতটাই বেশি যে ব্যবসায়ীরা সরাসরি বাড়ি থেকে পান সংগ্রহ করেন। তিন ধরনের সাইজ অনুযায়ী পান বিক্রির দামে একটি নির্দিষ্ট কাঠামো থাকায় চাষীরা সহজেই বাজার ধরতে পারেন।
কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ রানার মতামত উল্লেখযোগ্য, যেখানে তামাকের মতো ক্ষতিকর ফসলের পরিবর্তে পান চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এটি শুধু অর্থনৈতিক দিক থেকেই নয়, বরং জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশের দিক থেকেও একটি ইতিবাচক উদ্যোগ। কৃষকদের এই উদ্যোগ এবং সরকারি সহায়তা মিলে এলাকাটিকে একটি উদাহরণ হিসেবে গড়ে তুলছে।