মাসকলাই থেকে ঐতিহ্যবাহী খাবার কলাইয়ের রুটি তৈরি হয়। তাছাড়াও ডাল হিসেবেও বেশ জনপ্রিয় মাসকলাইয়ের বীজ। তাই অনেক আগে থেকেই চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাসকলাই চাষ হয়। কিন্তু এবার মাসকলাইয়ে ব্যাপক ফলন আমবাগানে দেখা গেছে। মাসকলাইয়ে ব্যাপক ফলন আমবাগানে হবে এমনটাই আশা করছেন এ জেলার চাষিরা। কৃষকরা বলছেন বাগানে আম গাছের ফাঁকে ফাঁকে সাথী ফসল হিসেবে মাসকলাই চাষ করছেন তারা।
এমন চিত্র দেখা গেছে জেলার ইলমালপুর, বালিয়াডাঙ্গা, শিবগঞ্জ, কালোপুর, শ্যামপুর, গোমস্তাপুর, ধাইনগর, ইসরাইল মোড়, আব্বাস বাজার, চককীর্তী, চৌডাল, পোনরশিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে।
শুধু কৃষকই নয়, শিক্ষার্থীরাও করছেন এর চাষ।
একজন শিক্ষার্থী জানান, মাসকলাইয় চাষে খরচ কম হয়।
তা্ই গত বছর ৫ বিঘা জামিতে মাসকলাই চাষ করেছিলেন তিনি।
ছোট ছোট আম গাছও সেই জমিতে ছিল।
এতে তার প্রায় ৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল।
আর এ জমি থেকে প্রায় ১৭ মণ মাসকলাই হয়েছিল।
এটি বিক্রি করে প্রায় ৪৫ হাজার টাকা আয় করেছেন তিনি।
এবার ও তিনি আরও পাঁচ বিঘা জমিতে মাসকলাই চাষ করেছেন।
গতবছরের চেয়ে এবছর আরও বেশি ফলনের আশা করছেন তিনি।
মাসকলাইয়ের ব্যাপক ফলনের আশা আম বাগানে
জেলার ইসলামপুর এলাকার কলাই চাষি আনারুল।
তিনি জানান, প্রায় ১৫ বছর থেকেই মাসকলাই চাষ করছেন তিনি।
এবারও তিনি ২ বিঘা জমিতে চাষ করেছেন।
এ বছর আগেরবারের তুলনায় ফুল ফল ভালো হয়েছে।
তিনি আশা করছেন গত বছরের থেকে এবার বেশি ফলন হবে তার।
তার হিসেবে গত বছর এ সময়ে ১৫ কাঠা মাসকলাই চাষ করে ১৮ হাজার টাকা পেয়েছিলেন।
এ ফসল তিনি বাড়তি ফসল হিসেবেই চাষ করেন।
সাধারণত আম গাছ অনেক বড় হয়ে যাবার ফলে এ জমিতে অন্য ফসল হয় না।
তাই তারা এর সাথী ফসল হিসেবে মাসকলাইয়ের চাষ করেন।
শ্যামপুর ইউনিয়নের চামাভান্ডার গ্রামের মাসকলাই চাষি মজিবুর।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, জেলার প্রায় সব উপজেলায় আম বাগানে মাসকলাই চাষ হয়।
তবে মাসকলাইয়ের বেশি চাষ হয় শিবগঞ্জ উপজেলায়।
তার হিসেব অনুসারে এবার জেলায় ২৩ হাজার ৫০২ হেক্টর জমিতে মাসকলাই চাষ হয়েছে।
গত বছর মাসকলাইয়ের চাষ হয়েছিল ১৯ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে।
কৃষকদেরকে সার ও বীজ দিয়ে সহায়তা করছেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।