Thursday, 05 June, 2025

সর্বাধিক পঠিত

মরিচ/ক্যাপসিকাম বীজ গজানোর তিন পদ্ধতি


বাণিজ্যিকভাবে ক্যাপসিকামের চাষাবাদ শুরু হয়েছে

মরিচ/ক্যাপসিকাম বীজ গজানোর তিন পদ্ধতি নিয়ে আজকের আলোচনা। ভালো মানের চারা তৈরি করতে হলে দরকার সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ। চলুন জেনে নেই –

পদ্ধতি-১ঃ

বীজ ১০ ঘন্টা ভিজিয়ে মাটিতে বপন করে পানি দিয়ে পেপার কাগজ দিয়ে ঢেকে রাখবেন।

আরো পড়ুন
সার ও কীটনাশকের যথেচ্ছ ব্যবহারে হুমকির মুখে কৃষিজমি

দেশের কৃষিজমির উর্বরতা আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে। এর প্রধান কারণ অতিরিক্ত সার ও কীটনাশকের যথেচ্ছ ব্যবহার। এর ফলে একদিকে যেমন Read more

লবণাক্ত জমিতে ফসল চাষ: টেকসই উপকূলীয় কৃষির সম্ভাবনা

বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশের অনেক এলাকায় মাটির লবণাক্ততা দিনে দিনে বেড়ে চলেছে। এই ধরনের জমিতে প্রচলিত ফসলের উৎপাদন কমে যায়, Read more

পদ্ধতি-২ঃ

বীজগুলো ১০ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে একটা টিস্যুতে রেখে উপরে আরেকটা টিস্যু দিয়ে ছত্রাকনাশক কার্বেন্ডাজিম/ ম্যানসার মিশ্রিত পানি স্প্রে করে টিস্যুটা ভিজিয়ে দিবেন। অতিরিক্ত পানি যেন না জমে। তাহলে বীজ পচে যাবে।

একটা বক্সে রেখে মুখটা ভালোভাবে আটকিয়ে অন্ধকার জায়গায় রেখে দিবেন।

৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে বীজ গজাবে। এরপর সীড ট্রেতে বা মাটিতে বা কোকোপিটে লাগিয়ে দিবেন।

বারান্দায় উজ্জ্বল আলোতে রাখবেন। সরাসরি রোদে রাখা যাবে না। গোড়া পচা/ ঢলে পড়া রোগ ঠেকাতে চারা হওয়ার ৩/৪ দিন পর কার্বেন্ডাজিম স্প্রে করে দিবেন। এর ৭ দিন পর আবার দিবেন।

টিস্যুতে বীজ গজানোর হার বেশি হয়।

পদ্ধতি-৩ঃ

সরাসরি বীজ আর্দ্র মাটিতে বা টবে লাগিয়ে দিবেন। হালকা করে পানি দিয়ে ভিজিয়ে দিয়ে পেপার কাগজ অথবা পাতা দিয়ে ঢেকে দিবেন। ৭/১০ দিনের মধ্যে চারা গজাবে।

তবে এক্ষেত্রে সময় বেশি লাগবে। চারা দুর্বল হয়, জার্মিনেশন কম হয়।

লেখক- মো. মমিন সরকার, সহ-প্রতিষ্ঠাতা, ই-কৃষি ক্লিনিক।

0 comments on “মরিচ/ক্যাপসিকাম বীজ গজানোর তিন পদ্ধতি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আর্কাইভ