Friday, 18 July, 2025

সর্বাধিক পঠিত

ভোলায় গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে সফল কৃষকরা


ভোলায় গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করেছেন স্থানীয় কৃষকেরা। দুই মাসেই ব্যাপক ফলন পেয়েছেন কৃষকরা। খেতে সুস্বাদু হবার কারণে বারি হাইব্রিড টমেটোর ব্যাপক চাহিদা বাজারে রয়েছে। এবং তারা এ টমেটো বিক্রয় করে দামও পাচ্ছেন ভালো। কৃষকরা ভাষ্যমতে অধিক ফলন আসায় এ টমেটো চাষ করে লাভবান হয়েছেন তারা। তাই আগামীতে তাদের পরিকল্পনা রয়েছে আরো বেশি জমিতে চাষের।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সরেজমিন গবেষণা বিভাগ ভোলার অফিসে এ বিষয় নিয়ে কথা হয়।

বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর অভিযোজন পরীক্ষা, উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও কমিউনিটি বেসড পাইলট প্রোডাকশন গ্রোগ্রাম শীর্ষক কর্মসূচি গৃহিত হয়।

আরো পড়ুন
অসময়ে তরমুজ চাষে সুবর্ণচরের আবুল বাসারের বাজিমাত!

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় অসময়ে তরমুজ চাষ করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কৃষক মো. আবুল বাসার। বর্ষাকালে সফলভাবে তরমুজ উৎপাদন করে Read more

বন্যা পরবর্তী মাছ চাষিদের করণীয়

বন্যা মাছ চাষিদের জন্য একটি মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর মাছ চাষে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে Read more

এর আওতায় এ টমেটো চাষ করা হয়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এ কর্মসূচি পরিচালিত হয়।

বারি-র সরেজমিন গবেষণা বিভাগ ভোলা গত বছর পরীক্ষামূলক চাষ করেন।

পরীক্ষামূলকভাবে বারি হাইব্রিড টমেটো তিনজন কৃষক নিয়ে চাষ করেন।

পরীক্ষামূলক সে চাষে সফলতা পান তারা।

এবছর তাই এ জাতের টমেটো ভোলা সদর, দৌলতখান ও চরফ্যাশন উপজেলার ১০ জন কৃষক চাষ করেন।

এবছর তাদের চাষেও তারা সাফল্য পেয়েছে। এতে তারা একই সাথে ভালো দাম পেয়ে হচ্ছেন খুশি।

বারি-র সরেজমিন গবেষণা বিভাগ ভোলার ঊর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা গাজী নাজমুল হাসান।

তিনি জানান, গত বছর পরীক্ষামূলক চাষ করেন কৃষকরা।

সেই সফলতার পর এবার বাণিজ্যিভাবে চাষ করেও কৃষকরা সফল হয়েছে।

ভালো পরিমাণ টাকা লাভ করছেন প্রতিটি কৃষক।

অনেক নতুন নতুন অনেক কৃষক তাদের দেখা দেখি বারি হাইব্রিড টমেটো চাষ করার জন্য আগ্রহী হচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, আগামীতে আরো বেশি জমিতে অনেক কৃষক যেন এ জাতের টমেটো চাষ করতে পারে।

সেজন্য বারি তাদের সব ধরনের সহযোগীতা করবে।

ভোলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. মোস্তফা সোহেল।

তিনি জানান, বারি হাইব্রিড জাতের টমেটো কৃষকরা পাইকারি বাজারে বিক্রয় করছেন।

কৃষকরা ৬০ টাকা করে কেজি বিক্রি করছেন।

কিন্তু খুচরা বাজারের এ টমেটো ১২০ টাকারও বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে কৃষকরা যাতে তাদের টমেটোর দাম পাইকারি বাজারে আরো বেশি পায় সেদিকে তারা খেয়াল করছেন।

একই সাথে কৃষকরা যদি অন্য জেলায় চালান করতে চায় সে ক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগীতা করবে বারি।

0 comments on “ভোলায় গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে সফল কৃষকরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ