Monday, 23 December, 2024

সর্বাধিক পঠিত

সোনাগাজীতে বাণিজ্যিকভাবে ক্যাপসিকামের চাষাবাদ শুরু


বাণিজ্যিকভাবে ক্যাপসিকামের চাষাবাদ শুরু হয়েছে

ফেনীর সোনাগাজীতে বাণিজ্যিকভাবে ক্যাপসিকামের চাষাবাদ শুরু হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া, উপযুক্ত মাটি এবং কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় বিদেশি সবজিটি চাষ হচ্ছে। বেশ কয়েকজন কৃষক বাণিজ্যিকভাবে ক্যাপসিকামের চাষাবাদ করছেন।

সোনাগাজীতে ক্যাপসিকামের ভালো ফলন আশা করছেন

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুসারে, চলতি মৌসুমে উপজেলার প্রায় ১ হেক্টর জমিতে ক্যাপসিকাম এর চাষ হয়েছে।

আরো পড়ুন
কোয়েল পাখি (quail birds) পালন পদ্ধতি

কোয়েল পাখি পালন বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, কারণ এটি অল্প জায়গায় এবং কম খরচে করা যায়। নিচে কোয়েল পাখি Read more

কিভাবে বাসায় বাজরিগার (Budgerigar Bird) পাখির যত্ন নিবেন?

বাজরিগার পাখি পালন করার জন্য সঠিক পরিচর্যা, সুষম খাবার, ও একটি উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। বাজরিগার পাখি বাসায় পালন Read more

আগ্রহী হবার কারণে চরচান্দিয়া ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এলাকায় দুজন কৃষককে ক্যাপসিকাম চাষের প্রদর্শনী দেয়া হয়েছে।

তারা হলেন আবু সাইদ রুবেল ও উত্তর চরচান্দিয়া এলাকায় শহিদুল্লাহ।

ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাণিজ্যিকভাবেও বেশ কয়েকজন কৃষক এ সবজির চাষ করেছেন।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে চাষিরা সোনাগাজীতে ক্যাপসিকামের ভালো ফলনের আশা করছেন।

আশপাশের অনেক চাষি এটি জানার পর থেকেই  এ সবজির বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।

আগামী মৌসুমে তারা এটির চাষাবাদ করবেন বলে জানিয়েছেন অনেক কৃষক।

প্রদর্শনী পাওয়া কৃষক চরচান্দিয়া ইউনিয়নের ক্যাপসিক্যাম চাষি আবু সাঈদ রুবেল।

তিনি জানান, সারাবিশ্বেই একটি জনপ্রিয় ও মূল্যবান সবজি হচ্ছে ক্যাপসিকাম।

এটাকে আমাদের দেশে অনেকে মিষ্টি মরিচ বলে থাকেন।

দিন দিন ক্যাপসিকামের জনপ্রিয়তা বাংলাদেশেও বাড়ছে।

আকার ও আকৃতি বিভিন্ন রকমের হলেও সাধারণত এই ফল গোলাকার ও এর ত্বক পুরু হয়।

তার মতে, দেশে ক্যাপসিকাম খাবার প্রচলন বেশি না থাকলেও ক্রমেই এর কদর প্রতিদিনই বাড়ছে।

দেশের অভিজাত হোটেল ও রেস্টুরেন্ট সমূহে বর্তমানে এই সবজির ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে।

ক্যাপসিকাম চাষাবাদের বিষয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র নাথ এর সাথে কথা হয়।

তিনি জানান, প্রতি বিঘায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কেজি পর্যন্ত ক্যাপসিকামের ফলন হতে পারে।

প্রতি কেজি সবুজ ক্যাপসিকাম এর বাজার মূল্য ১৫০ টাকা এবং লাল ও হলুদ রঙের ক্যাপসিকাম কেজি ৩৫০ টাকা।

তিনি আরও জানান, ক্যাপসিকাম চাষে প্রতি বিঘায় প্রায় ৫৫ হাজার টাকা খরচ হয়।

তার বীপরিতে প্রতি বিঘার ফলন প্রায় দেড় লাখ টাকায় বিক্রি হয়।

সব মিলিয়ে ক্যাপসিকাম চাষে কৃষকের দ্বিগুণের চেয়েও বেশি লাভ থাকে।

সোনাগাজী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কাজী শফিউল ইসলাম।

তিনি জানান, সোনাগাজীর মাটি ক্যাপসিকাম চাষাবাদের জন্য অত্যন্ত উপযোগী।

কৃষকদের এ সবজিটি চাষাবাদে উৎসাহিত করতে প্রদর্শনী, বীজ এবং সার দেওয়া হচ্ছে।

সঠিকভাবে উৎপাদিত সবজির ভালো দাম পাবার বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করার উপর জোর দেন।

এতে এসব এলাকার কৃষকরা ক্যাপসিকাম চাষাবাদের দিকে কৃষকরা আরও বেশি ঝুঁকতে পারেন।

এমনটাই মনে করেন এ কৃষি কর্মকর্তা।

0 comments on “সোনাগাজীতে বাণিজ্যিকভাবে ক্যাপসিকামের চাষাবাদ শুরু

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *