Friday, 31 October, 2025

বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ সরকারি খালে, তলিয়ে গেছে চাষের হাজার একর


সরকারি খালে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর ফলে এলাকার চাষাবাদের জমিতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। ফলে প্রায় ১০ হাজার একর জমির চাষাবাদ বন্ধ রয়েছে। মঙ্গলবার ইউএনওর কার্যালয়ে পানি সরানোর দাবিতে আবেদন জানিয়েছেন ভুক্তভোগী কৃষকেরা।

ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের হলদিয়া গ্রামে। উপজেলার হলদিয়া ও গুরুদল গ্রামের মাঝ দিয়ে কাউনিয়া খাল প্রবাহিত হয়েছে । এই খালের একটি স্থান জুলেখা। এই স্থানেই পাঁচ কপাটের একটি স্লুইসগেট রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে খোজ নিয়ে জানা গেছে যে, গত ১০ বছর ধরে খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করেন নান্নু মোল্লা নামে। খালের পাঁচটি স্থানে বাঁধন দেয়া হয়েছে। এর একটি কালভার্টের মুখে জাল দিয়ে আটকে রাখা। ফলে পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ। এতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে সমগ্র এলাকায়। পানির নিচে তলিয়ে গেছে প্রায় তিন-চার ফুট। গত ১০ দিন ধরে জমি চাষাবাদ বন্ধ রয়েছে এই জলাবদ্ধতার কারণে। পানিতে তলিয়ে আছে  প্রায় ১০ হাজার একর জমি।

আরো পড়ুন
সুগন্ধি চাল রপ্তানির সময়সীমা বাড়লো: ৫০ প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন সুযোগ
রপ্তানিযোগ্য সুগন্ধি চাল

রপ্তানির সময়সীমা শেষ হওয়ার প্রায় এক মাস পর অবশেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সুগন্ধি চাল রপ্তানির সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত সোমবার Read more

হালদা নদী রক্ষায় বড় পদক্ষেপ: পরিবর্তন আসছে গেজেটে, বন্ধ হবে তামাক চাষ ও দূষণ
হালদা নদী, গেজেট পরিবর্তন, তামাক চাষ বন্ধ

দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে চলেছে সরকার। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার Read more

কৃষক রুহুল আমিন প্যাদা জানান,  প্রভাব খাটিয়ে সরকারি খালে নান্নু মোল্লা অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছেন। তার মাছ চাষের জন্য পানিতে তলিয়ে রয়েছে এলাকার কৃষিজমি। পানি ঢুকে পড়েছে অনেকের বাড়িঘরে ।

স্থানীয় বাসিন্দা মেনাজ প্যাদা ও আবদুল খালেক মোল্লা জানান যে, খালে  মাছ চাষের জন্য বাঁধ দেবার কারণে তারা জমি চাষাবাদ করতে পারছেন না। তারা দাবি জানান যেন দ্রুত বাঁধ কেটে পানি অপসারণ করা হয়।

েএলাকার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সাইফুল ইসলাম জানালেন, কৃষকের সবধরনের হালচাষ বন্ধ রয়েছে পানির কারণে। আমন ধানের বীজতলাতে পচন ধরেছে। তার আশংকা যে পানি জমে থাকার কারণে দুই গ্রামের কৃষকের জমি  হয়ত অনাবাদি থেকে যাবে।

জানতে চাইলে সকল অভিযোগের মত বাঁধ দেওয়ার কথা অস্বীকার করে নান্নু মোল্লা। তবে তিনি বলেন যে কালভার্টের মুখে জাল দিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান যে তিনি জলাবদ্ধতার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছেন। ইউএনওর নির্দেশে সরেজমিনে তদন্ত করা হবে। এরপর দ্রুত সময়েই প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, জলাবদ্ধতার বিষয়ে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সঠিকভাবে সম্পূর্ণ তদন্ত প্রতিবেদন পেলে বাঁধ কেটে দেয়া হবে যেন পানি সহজে  অপসারিত হয়।

0 comments on “বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ সরকারি খালে, তলিয়ে গেছে চাষের হাজার একর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ