Wednesday, 03 September, 2025

পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে গাজীপুরে


মুড়ি পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে কৃষক

গাজীপুরের কালীগঞ্জে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে এবছর। পেঁয়াজের বাম্পার ফলন এর সাথে সাথে বাজারদরও বেশ ভালো এবার। সে কারণে স্থানীয় পেঁয়াজ চাষিরা ভালো দাম পাবার প্রত্যাশা করছেন। এতে আগামীতে পেঁয়াজ চাষে কৃষক এর আগ্রহ বাড়বে। এমনটা মনে করছে স্থানীয় কৃষি অফিস।

স্থানীয় কৃষি অফিস বলছে চাষিদের এ ব্যাপারে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

ব্যক্তি উদ্যোগের পাশাপাশি কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির ও সরকারের রাজস্ব খাতের অর্থায়নে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন
ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণে করণীয়: খামারি ও কৃষকের জন্য জরুরি নির্দেশিকা

ক্ষুরা রোগ বা ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ (FMD) একটি অত্যন্ত সংক্রামক ভাইরাসজনিত রোগ, যা গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও শুকরের Read more

কাজু ও কফি: যেভাবে বদলে যাচ্ছে পাহাড়ের অর্থনীতি

পাহাড়ের কৃষিতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে কাজু বাদাম ও কফি চাষ। একসময় আমদানিনির্ভর এই দুটি ফসল এখন দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ Read more

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি চাষ হয়েছে এবার।

কালীগঞ্জে এবছর পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৯৫ হেক্টর জমিতে।

উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে ৯ থেকে ১০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ।

গত বছর ১৯০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়।

সাড়ে ৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে।

গাজীপুর জেলার ৫টি উপজেলা।

তার মধ্যে কালীগঞ্জ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজের চাষ এবং উৎপাদন হয়।

জানা যায়, কালীগঞ্জ পৌরসভাসহ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নেই কম বেশি পেঁয়াজের চাষ হয়ে থাকে।

তবে এদের মধ্যে বক্তারপুর ইউনিয়নে পেঁয়াজের চাষ হয় বেশি।

স্থানীয়ভাবে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা থেকে উদ্ভাবিত বারি পেঁয়াজ-১, তাহেরপুরি ও ফরিদপুরি পেয়াজ উৎপাদিত হয়।

উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের খৈকড়া ব্লকের দায়িত্ব পালন করছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহিন মিয়া।

তিনি বলেন, উপজেলার মধ্যে বক্তারপুর ইউনিয়নের খৈকড়ায় বেশি চাষ হয়েছে।

এক মাঠেই প্রায় ২০০ একর জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে।

গত বছরের তুলনায় ফলনও খুব ভালো হয়েছে।

স্থানীয় চাষিদের কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা তাসলিম।

তিনি জানান, গত বছর পেঁয়াজ ও পেঁয়াজের বীজের দাম বেশি ছিল।

প্রায় ৬ হাজার টাকা কেজি ছিল বীজের দাম।

তাছাড়া দফায় দফায় বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।

তাই এবছর নতুন নতুন বেশ কিছু কৃষক পেঁয়াজ চাষে বেশ উৎসাহিত হয়েছেন।

তিনি আরও জানান, এবছর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রণোদনার আওতায় স্থানীয় ৫০ জন কৃষককে সহায়তা দেয়া হয়েছে।

বিনা মূল্যে বীজ, সার দেয়া হয়েছে তাদের।

এছাড়াও রাজস্ব ফলোআপ কর্মসূচির আওতায় আরও ৬৮ জন চাষিকে ১ কেজি করে পেঁয়াজের বীজ বিতরণ করা হয়েছে।

সরকারের রাজস্ব খাত থেকে ৫টি প্রদর্শনী ও এনএটিপি-২ প্রকল্পের আওতায় ৬টি প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে।

0 comments on “পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে গাজীপুরে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ