পাটের ভালো ফলনে খুশি চাঁপাইনবাবগঞ্জের চাষিরা। একই সাথে দাম বেশি হওয়ায়। এখন এ জেলায় কাজ চলছে পুরোদমে পাট কেটে নদীতে জাগ দেওয়া ও আঁশ ছড়ানোর। গত বছরের তুলনায় এবার ফলন ও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে কৃষকরা বলছেন।
এমন চিত্র দেখা গেছে মঙ্গলবার সকালে। সদর উপজেলার ইসলামপুর, শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর, বাররশিয়া, দুলর্ভপুর ও খাষেরহাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এসব ।
ভালো দাম পাচ্ছেন চাষিরা
পাট চাষি সেলিম আলী সদর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের চাষি। তিনি জানান, এ বছর দেড় বিঘা জমিতে পাট আবাদ করেছিলেন। ১০ কাঠার পাট কেটে বিক্রি করে দাম পেয়েছেন ১৩ হাজার টাকা।
তিনি আরও জানান যে আরও এক বিঘা জমির পাট কেটে জাগ দিচ্ছেন। এবার পাটের ফলন ও দাম বেশ ভালো হবার কারণে আশা করছেন যে বাকি এক বিঘা জামির পাটে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পাবেন। তিন বিঘা পাটচাষে তার ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
শিবগঞ্জ উপজেলার মুসলিমপুর এলাকার চাষি এরফান ফারুক। তিনি জানান, পাট চাষে খরচ খুবই কম তাই প্রতি বছর পাট চাষ করেন। ফলন বেশি হওয়ায় তিন বিঘা পাটের সব কর্যক্রম শেষ করতে পারেনি। দুই বিঘা জমির ২১ মণ পাট বিক্রি করেছি ২৭০০ টাকা মণ দরে।
গোমস্তাপুর উপজেলার চানপুর এলাকার পাটচাষি রুবেল। তিনি ১২ কাঠা পাট চাষ করেছিলেন এ বছর। প্রায় ৫ মণ বিক্রি করেছেন সাড়ে ১২ হাজার টাকায়। পাটখড়ি হয়েছে সাড়ে তিন মণ, বিক্রি করেছেন এক হাজার টাকায়।
কানসাটের এক পাট আড়তদার জানান, গত বছর এরকম সময় পাট কিনেছিলেন ১২০০-১৩০০ টাকা মণ। কিন্তু এবার করছেন ২৫০০-২৭০০ টাকা মণ দরে। পাটখড়ি ক্রয় দর ছিল ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা মণ। এ বছর প্রথম থেকেই পাটের দাম ভালো।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম এর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বছর জেলায় ৩০৯৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। জেলার সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় বাকি ৫ উপজেলার মধ্যে এবার পাট চাষ বেশি।
গত বছর শেষ দিকে ভালো দাম পাবার কারণেই এবার পাট বেশি চাষ করেছিলেন চাষিরা। এবারও দাম বেশ ভালো রয়েছে। তাই চাষিরা অনেক লাভবান হবেন বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তর।