Friday, 05 December, 2025

বাংলাদেশকে পতিত জমি ইজারা দিতে চায়


পতিত জমি ইজারা দিতে চায় দক্ষিণ সুদান

দক্ষিণ সুদান এর বিশাল বিস্তীর্ণ জমির বেশিরভাগই রয়েছে পতিত অবস্থায়। সে দেশের কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশকে পতিত জমি ইজারা দিতে চায়। এসব জমিতে বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করতে চায় সুদান। তাই এ ব্যাপারে বাংলাদেশের সহযোগিতাও চেয়েছে দেশটি। কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এ তথ্য জানিয়েছেন।

দক্ষিণ সুদানে বিশেষজ্ঞ দল পাঠাবে বাংলাদেশ

মন্ত্রী আরও জানান, দক্ষিণ সুদানে সহযোগিতার সুনির্দিষ্ট খাত চিহ্নিত করতে হবে।

আরো পড়ুন
অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে ‘জিরো টলারেন্স’ নিশ্চিত করতে হবে: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে ‘জিরো টলারেন্স’ নিশ্চিত করতে হবে

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার ও অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিশ্চিত করতে সকলকে একসাথে Read more

কৃষি অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড: স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও চ্যানেল আইয়ের যৌথ উদ্যোগে ১১ জনকে সম্মাননা!
কৃষি অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড: স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও চ্যানেল আইয়ের যৌথ উদ্যোগে ১১ জনকে সম্মাননা!

কৃষিতে বিশেষ অবদানের জন্য আটজন ব্যক্তি ও তিনটি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দিয়েছে বহুজাতিক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক (এসসিবি) এবং চ্যানেল আই। সারাদেশে Read more

একারণে একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠাবে বাংলাদেশ।

এ দলে থাকবেন কৃষি গবেষক, বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মীসহ বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে একটি সাক্ষাতকার অনুষ্ঠিত হয়।

এতে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এবং দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতাবিষয়ক উপমন্ত্রী দেং দাউ দেং মালেক নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম ভুইয়া এসব তথ্য জানান।

পরবর্তীতে কৃষিমন্ত্রী নিজেই সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে মতবিনিময় করেন।

মন্ত্রী জানান, দক্ষিণ সুদানে প্রায় ছয় লাখ বর্গকিলোমিটার কৃষি জমি পতিত রয়েছে।

এ সকল জমির বেশির ভাগ পতিত অবস্থায় পড়ে থাকে, চাষাবাদ হয় না।

এমন সুবিশাল এলাকাকে কৃষি উৎপাদনের আওতায় এনে অনেক ফসল উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।

অনেক দিন ধরেই সুদানের সরকারের মালিকানায় বা খাসজমি ইজারা নিয়ে ফসল উৎপাদনের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে।

বাংলাদেশের অনেক বেসরকারি উদ্যোক্তা তাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

সরকারও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী।

আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, দক্ষিণ সুদানে কী ফসল উৎপাদন করা যায়, জমি কীভাবে চাষের আওতায় আনা যায় তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

তা দেখতে একটি বিশেষজ্ঞ টিম পাঠানো হবে।

বিশেষজ্ঞ টিমের রিপোর্টের ভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

বেসরকারি খাতে যারা বিনিয়োগ করতে চায় তাদেরকে আমন্ত্রণ জানাবার কথা বলেন তিনি।

সরকার শ্রমিক পাঠানোসহ এসব বিষয়ে বিশ্লেষণ করে উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

দক্ষিণ সুদানের উপমন্ত্রী দেং দাউ দেং মালেক।

তিনি দক্ষিণ সুদানে কৃষি উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণনে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

দক্ষিণ সুদানের প্রতিমন্ত্রী জানান, কৃষি খাতে তারা বাংলাদেশের সাফল্য ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চান।

তারা তাদের বিশাল পতিত জমিতে ফসল উৎপাদন করে নিজেদের প্রয়োজনীয় খাদ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করতে চান।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মেয়ম অ্যালিয়েন, ইথিওপিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম, সেনাকল্যাণ সংস্থার উপমহাপরিচালক কর্নেল মো. মাহবুবুর রহমান।

0 comments on “বাংলাদেশকে পতিত জমি ইজারা দিতে চায়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ