দারুচিনি! প্রাচীনতম একটি মশলা। এটি মিষ্টি, পানীয় এবং চা জাতীয় খাবারে বাড়তি স্বাদ যোগ করে। দারুচিনি গাছের সবই কাজে লাগে। বাকল, ফুল, কুঁড়ি, পাতা, ফল, শেকড় ইত্যাদি সবগুলোই কাজে লাগে । দারুচিনি মিশিয়ে গরম মশলা হিসেবে দৈনন্দিন খাবারের ঘ্রান ও স্বাদকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।
দারুচিনির অনেক স্বাস্থ্যকর বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আমাদের শরীরকে তরতাজা রাখতে সহায়তা করে। কিন্তু কিভাবে ছাদে দারুচিনি চাষ করা যায় তা নিয়ে অনেকেই জানেন না্। তাই চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে ছাদে দারুচিনি চাষ করা যায়।
কিভাবে ছাদে দারুচিনি/দালচিনি চাষ করবেন ?
দারুচিনির গাছ যেখানেই লাগান সেখোনে অবশ্যই রোদ থাকতে হবে। তাই বারান্দায় রোদ পড়ে এমন স্থান অথবা ছাদে টব রাখার ব্যবস্থা করুন।
শীতকালে অর্থাৎ তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের নিচে নেমে হলে বাড়ির ভিতরে দারুচিনি রোপণ করা ভাল।
দারুচিনির জন্য পূর্ণ সূর্যকিরণ খুব জরুরি। তাই যথেষ্ট রোদ পাওয়া যায় এমন জায়গায় এটা রাখতেই হবে।
খুব ভাল মানের মাটি ব্যবহার করতে হবে। ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে এমন মাটি ব্যবহার করা যাবেই না। দারুচিনি খুব সংবেদশীল গাছ বিধায় এতে যেখান-সেখান থেকে মাটি এনে টব ভর্তি করলে হবে না। উত্তম নিষ্কাশনযুক্ত বেলে দোআঁশ মাটি এক্ষেত্রে খুবই আদর্শ।
দারুচিনি গাছ খুবই সংবেদনশীল এবং খরা একেবারেই সহ্য করতে পারে না।
মাটি পাওয়া না গেলে বিকল্প হিসেবে ১৫% ট্রাইকোকমপোস্টযুক্ত কোকোডাস্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।
১) একটি বড় সিরামিক পাত্র নিতে হবে যার আনুমানিক মাপ হবে (৬০ x ৫০ সেমি)। এর তলার দিকে যথেষ্ট বড় ছিদ্র থাকবে। এই পাত্রটি মাটি বা কোকোডাস্ট দিয়ে ভর্তি করে নিতে হবে।
২) ৩০ সেন্টিমিটার x ৩০ সেন্টিমিটার (প্রস্থ ও গভীরতা)একটি গর্ত তৈরি করতে হবে। বীজ ব্যবহার করা হলে ১.৫ সেন্টিমিটার গভীর গর্ত তৈরি করতে হবে। এরপর মাটি চাপা দিন।
৩) মাটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি দিতে হবে নিয়মিত। গাছ পাত্রে রোপন করার পরে পানি দিতেই হবে যতক্ষন না টবের নিচের গর্ত থেকে পানি বের হয়ে আসে। টবের উপরি অংশে ৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত শুকিয়ে গেলে আবার পানি দিতে হবে।
নিয়মিত সার প্রয়োগ করতে হবে দারুচিনি গাছে। ৭৫ গ্রাম এমওপি, ৫০ গ্রাম টিএসপি, ও ৫০ গ্রাম ইউরিয়া। প্রতিবছর ২-৩ কেজি ট্রাইকোকম্পোস্ট । এর পর আবার একই হারে টিএসপি, এমওপি ও ইউরিয়া দিতে হবে।