বর্তমানে শহরের আনাচে কানাচে ছাদ কৃষির জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে ।তবে অনেকে মনে করেন ছাদে কেবল ফুল অথবা হালকা কিছু উদ্ভিদ চাষ করা সম্ভব। জ্বী না, প্রায় সব ধরনের উদ্ভিদই উৎপাদন সম্ভব তবে বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ রোপনের ক্ষেত্রে পরবর্তীতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
শীতকালীন ফলের মাঝে চালতার জনপ্রিয়তা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই, যার ওষধি গুণও বেশি ।
কিভাবে মাটি তৈরি ও সার প্রয়োগ করবঃ
মাটি তৈরির আগে জানা দরকার যে, দোআঁশ বা বেলে দোআঁশ মাটিতে চালতার ফলন ভাল হয়। একটি বড় টবে মাটির সাথে ১২-১৫ কেজি গোবর সার, এমওপি ও টিএসপি ১০০ গ্রাম পরিমাণ এবং জিপসাম সার ৫০ গ্রাম পরিমাণ মিশিয়ে কয়েক দিন রেখে দিতে হবে।
সেচ কিভাবে দিবঃ
শুকনোর সময় গাছের গোড়ায় অল্প অল্প করে পানি দিতে হয় । বর্ষাকালে খেয়াল রাখতে হয় যাতে পানি না জমে থাকে গাছের গোড়ায়। প্রয়োজনে গাছের গোড়া উচু করে শক্ত করে দিতে হবে।
ছাদে চালতা রোপনের সময়
চালতা ফল বর্ষার পর পর পেকে যায় যেটা শীতকাল পর্যন্ত অনবরত ফল প্রদান করে যায়। পাকা চালতা ফলের বীজ থেকেও চারা তৈরি করে নেয়া যায়। অনেক সময় গাছে ফল পেকে গেলে যদি তা না সংগ্রহ করা হয় তবে সে ফল থেকে বীজ নিজে নিজে মাটিতে ঝরে পড়ে। পরবর্তীতে যদি অনুকূল পরিবেশ পায় তা থেকে চারা গজায়। সেই কারণেই চালতা তলায় মাঝে মাঝে ছোট ছোট অনেক চারা দেখতে পাওয়া যায়। এখান থেকে চারা তুলে নিয়ে যদি বাগানে লাগিয়ে দেয়া হয় তাহলেও গাছ হবে। তবে চালতা বীজ থেকে করা চারার গাছে ফল ধরতে ৬-৭ বছর সময় লেগে যায়। শাখা কলম বা কাটিং করে যদি চালতার চারা তৈরি করা যায় তাহলে সেসব কলমে দ্রুত ফল ধরে।
পরিচর্যা করা দরকার হয় কিঃ
বাগান করতে হলে সবসময় আগাছা পরিষ্কার করে রাখতেই হবে। মাঝে মাঝে ডালপাতা ছাটাই করে রাখলে ছাদবাগানকে আরো ভাল ও সুন্দর দেখাবে।
কখন ফল সংগ্রহ করতে হয়ঃ
চালতার ফল ভাদ্র আশ্বিন মাসে গাছে আসে। যদি একটি টবে পরিপূর্ণ গাছ থাকে তবে ৭০-৮০ টি ফল আসে।
চালতার গুনাগুণঃ
- ঠান্ডা জ্বর এ চালতারস অনেক উপকারী।
- বাতের ব্যথা, রক্ত আমাশয়, কফ সর্দি ইত্যাদি নিরাময়ে চালতার ব্যবহার প্রচুর।