জয়পুরহাটে সাধারণ আলুর চেয়ে অধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ গাছ আলু বাণিজ্যিক ভাবে মাচা পদ্ধতিতে চাষ হচ্ছে। ব্যাপক চাহিদা থাকায় এ গাছ আলুতে স্বপ্ন বুনছেন জয়পুরহাটের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকরা।
জেলার পাঁচবিবি উপজেলার মালিদহ গ্রাম ঘুরে কুষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক সময় বাড়ির আনাচে কানাচে দেখা মিলত গাছ আলুর। এখন তা আর দেখা না গেলেও মালিদহ গ্রামের কৃষক অজিত চন্দ্র অন্য ফসলের পাশাপাশি এবার ২০ শতাংশ জমিতে বাণিজ্যিক ভাবে মাচা পদ্ধতিতে চাষ করেছেন গাছ আলু। ব্যাপক চাহিদা থাকায় এ গাছ আলুতে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন তিনি।
অজিত চন্দ্র জানান, মাচা পদ্ধতিতে চাষ করা এ আলু মাটির নিচে একেকটির ওজন ৩ থেকে ৫ কেজি পর্যন্ত হয়। মাটির নিচের আলু ছাড়াও গাছে ঝুলন্ত আলু সবজি ও বীজ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। গরমের শুরুতে এ আলু চাষ শুরু করা হয় এবং শীতকালে বাজারে আসে আলু। সাধারণ আলুর মতো শর্করা ছাড়াও এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়ামসহ নানা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এ গাছ আলু।
অজিত চন্দ্র জানান, ২০ শতাংশ জমিতে গাছ আলু চাষ করতে মাচা তৈরি ও লেবারসহ প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ পড়লেও উৎপাদিত আলু প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ টাকা বিক্রি হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন তিনি।
একবিঘা জমিতে আড়াইশ থেকে তিনশ মণ উৎপাদন হয়ে থাকে। অজিত চন্দ্রের দেখা দেখি পাশের কৃষকরাও আগ্রহী হচ্ছেন এ গাছ আলু চাষে। বাজারে চাহিদা বেশি এবং অধিক লাভ থাকায় এবার মাচা পদ্ধতিতে গাছ আলু চাষ করবেন বলে জানান প্রতিবেশী নিমাই চন্দ্র ও আবু বকর সিদ্দিক।
পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফর রহমান জানান, এটি পুষ্টিগুণের পাশাপাশি অত্যন্ত লাভজনক একটি ফসল। কৃষি বিভাগ থেকে মাচা পদ্ধতিতে গাছ আলু চাষে উদ্বুদ্ধ করাসহ কারিগরি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।