স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত দুইদিন আগে কৃষক সৈয়দের স্ত্রী ঘরের মেঝেতে সাপের খোলশ দেখতে পান। পরে এলাকাবাসীর পরামর্শে বাজার থেকে কার্বনিক এসিড কিনে স্বয়নঘরে রাখেন। বুধবার দুপুরের পর থেকে সাপের একটি বাচ্চা বের হতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তারা। প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় কোদাল ও সাবল দিয়ে মেঝে খুঁড়তে থাকলে একের পর এক ওই গোখরা সাপের বাচ্চাগুলো বের হতে থাকে।
নাটোরের গুরুদাসপুরে এক কৃষকের স্বয়ন ঘর থেকে পাওয়া গেলো ২৫টি গোখরা সাপ। বুধবার বিকালে উপজেলা পৌর সদরের আনন্দনগর মহল্লার মৃত সাদেক আলীর ছেলে কৃষক সৈয়দ আলীর স্বয়নঘর থেকে একটি মা সাপ ও ২৪টি বাচ্চা গোখরা সাপ পাওয়া যায়।
একপর্যায়ে মা সাপটিও বের হয়। তখন এলাকাবাসী মা সাপটি বিষধর হওয়ায় নিজেদের সুরক্ষার জন্য মেরে ফেলেন। মা সাপসহ মোট ২৫টি গোখরা সাপের বাচ্চা মাটি চাপা দেওয়া হয়।
স্থানীয় পরিবেশকর্মী নাজমুল হাসান জানান, সাপ মারা অন্যায়। আতঙ্কিত না হয়ে পরিবেশকর্মীদের অথবা স্থানীয় বন বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা উচিত ছিল। তাহলে সাপগুলো উদ্ধার করে নির্দিষ্ট স্থানে ছেড়ে দেওয়া যেত।