Sunday, 24 November, 2024

সর্বাধিক পঠিত

কীটনাশক বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি, মতামত কৃষি কর্মকর্তাদের


সবজির উপর মাত্রাতিরিক্ত মুনাফা উঠে এসেছে গবেষণায়

চলছে চৈত্রের দাবদাহ। সাথে যোগ হয়েছে  ভ্যাপসা গরম। প্রচন্ড গরমে নষ্ট হতে যাওয়া সবজির খেত বাঁচাতে অতি মাত্রায় কীটনাশক ব্যাবহার করছেন চাষিরা। এমন চিত্র দেখা গেছে বগুড়ার সদর ও গাবতলী উপজেলায়। চাষিরা সবজি খেতে অতিমাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার করছেন। এই কীটনাশক বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি, এমনটাই মতামত চিকিৎসকদের। তারা বলছেন কীটনাশক ছিটানোর দুই একদিনের মাথায় সবজি বিক্রি করা হয়। এতে প্রয়োগকৃত কীটনাশক বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি, কারন বিষক্রিয়া এত দ্রুত শেষ হয়ে যায় না।

কৃষি কর্মকর্তা ও চিকিৎসকেরা জানান, কীটনাশক ছিটানো এসকল সবজি খেয়ে কিডনি ও যকৃতের জটিলতা বাড়ায়।

তাছাড়াও নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

আরো পড়ুন
পান চাষ পদ্ধতি

পান চাষ একটি লাভজনক কৃষি পদ্ধতি, বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত ও অন্যান্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশে এটি ব্যাপক চাষ করা হয়। Read more

মিঠা জাতের পান চাষে লাভবান কৃষক

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ফুলের ঘাট এলাকার পান চাষের এই চিত্র সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। পান চাষ একটি লাভজনক ফসল হওয়ায় এটি ক্রমশ Read more

কৃষি বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের একটি গবেষণাতে অতিমাত্রায় কীটনাশক এর ব্যবহার উঠে এসেছে।

অতিমাত্রায় কীটনাশকের উপস্থিতি মিলেছে।বগুড়ায় উৎপাদিত বেগুনসহ কিছু টাটকা সবজিতে।

বারির কীটতত্ত্ব বিভাগের কীটনাশক গবেষণা ও পরিবেশ বিষতত্ত্ব শাখার ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন প্রধান।

তার নেতৃত্বে এ গবেষণা করা হয়।

গত বছর আন্তর্জাতিক এক বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশ করা হয় গবেষণার ফল।

জানা যায়, সাইপারমেথ্রিন, ক্লোরোপাইরিফস, ডাইমেথয়েট, অ্যাসিফেট ও কুইনালফসের মতো ক্ষতিকর রাসায়নিক পাওয়া গেছে।

সদর ও গাবতলী উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকার চাষিদের সঙ্গে কথা হয়।

জানা গেছে, দিনের বেলা তীব্র রোদ থাকে।

বিভিন্ন সবজির ওপর এই গরমের প্রভাব পড়ছে মারাত্মক।

পোকার আক্রমণে পাতা কুঁকড়ে গাছ মরে যাচ্ছে।

এসব রোগবালাই দমনে খেতে কীটনাশকের ব্যবহার বেড়েছে।

বেগুনে কীটনাশক ব্যবহার করা হয় বেশি।

এ ছাড়া শসা, করলা, কাঁচা মরিচ, টমেটো, ফুলকপি ও বাঁধাকপিতেও নানা মাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে।

জানা যায় খেত থেকে ফসল তুলে বিক্রি করা পর্যন্ত ফসল অনেক সময় তাজা থাকে না।

যাতে দেখতে তাজা ও ভালো দেখায়, সে জন্য তাঁরা শেষ সময়ে এসে কীটনাশক স্প্রে করেন।

এতে পাইকারি বিক্রি পর্যন্ত ফসল ভালো থাকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সবজিতে কীটনাশক ছিটানোর পর বহুদিন বিষক্রিয়া থেকে যায়।

অন্তত পাঁচ থেকে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত বিষক্রিয়া থাকতে পারে।

এসকল সবজি খাবার ফলে কিডনি ও যকৃতের জটিলতা সহ নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়তে পারে।

এসব কীটনাশক এর বিষ রক্তের সঙ্গে মিশে কিডনিতে জমা হয়ে যায়।

দীর্ঘ মেয়াদে জমা হবার কারনে অঙ্গ বিকল হবার কারণও হতে পারে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়ার উপপরিচালক দুলাল হোসেন।

তিনি বলেন, বগুড়ার কৃষকেরা সবজি খেতে অতিমাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার করে থাকেন।

তিনি বিষাক্ত রাসায়নিক কীটনাশকের বিকল্প হিসেবে জৈব কীটনাশক ব্যবহারের কথা বলেন।

সেইসাথে কীটপতঙ্গ দমনের প্রাকৃতিক পদ্ধতি ব্যবহার নিশ্চিত করার কথাও বলেন।

কৃষকদের এসব বিষয়ে নানাভাবে সচেতন করা হচ্ছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

0 comments on “কীটনাশক বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি, মতামত কৃষি কর্মকর্তাদের

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *