Saturday, 01 November, 2025

কচুর বাম্পার ফলন হয়েছে, কিন্তু দাম পড়ে গেছে বাজারে


এ বছর কচুর বাম্পার ফলন হয়েছে কুড়িগ্রাম জেলায়। তবে ভালো দাম পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন চাষিরা।বাজারে বিভিন্ন সবজির উৎপাদন বেশি থাকায় এবার কচুর দর পড়ে গেছে। প্রতি কেজি কচু বর্তমানে বাজারে ১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবজি হিসেবে কচু

কচু একটি খুব উপকারী সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর রয়েছে পুষ্টিগুণ। এতে বিদ্যমান প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, ডিটারেরী ফাইবার, শর্করা, বিভিন্ন খনিজ ও ভিটামিন। এ সকল উপাদান দেহের জন্য খুবই উপকারী। তাছাড়া প্রচুর পরিমাণে লৌহ পাওয়া যায় এতে।

আরো পড়ুন
সুগন্ধি চাল রপ্তানির সময়সীমা বাড়লো: ৫০ প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন সুযোগ
রপ্তানিযোগ্য সুগন্ধি চাল

রপ্তানির সময়সীমা শেষ হওয়ার প্রায় এক মাস পর অবশেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সুগন্ধি চাল রপ্তানির সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত সোমবার Read more

হালদা নদী রক্ষায় বড় পদক্ষেপ: পরিবর্তন আসছে গেজেটে, বন্ধ হবে তামাক চাষ ও দূষণ
হালদা নদী, গেজেট পরিবর্তন, তামাক চাষ বন্ধ

দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে চলেছে সরকার। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার Read more

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে জানা যায় যে, জেলায় এ বছর ৪০৫ হেক্টর জমিতে কচুর চাষ করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা এবং রাজারহাটে কচুর আবাদ বেশি হয়েছে।

কচু চাষিরা জানান এক বিঘা জমিতে কচু লাগানোর পর থেকে তা সম্পূর্নভাবে পরিপক্ব হতে ৫-৬ মাস সময় লাগে। ফলন যদি ভালো হয় তাহলে প্রতিবিঘায় ৮০-৯০ মণ পর্যন্ত কচু উৎপাদন করা সম্ভব হয়। কচু চাষে এক বিঘা জমিতে ১০-১২ হাজার টাকা খরচ হয়। কিন্তু ভালো দাম থাকলে প্রতি বিঘা জমি থেকে প্রায় লাখ টাকার কচু বিক্রি করা সম্ভব হয়।

বর্তমানে বাজারে পাইকারিহারে চাষিরা কচু ৪০০ টাকা মণ বিক্রি করছেন। তাদের কথা অনুসারে, এ বছর কচু বিক্রি করে লাভবান না হতে পারলেও খুব বেশি লোকসান হবে না।

সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের আগমনী গ্রামের কচু চাষি মো. খলিলুর রহমান। তিনি জানান তিন একর জমিতে কচু চাষ করেছেন তিনি। তার ভাষ্যমতে প্রথম দিকে দাম একটু ভালো ছিল, ভালো বিক্রয়ও করেছেন তিনি। কিন্ত এখন দাম অনেক পড়ে গেছে।

তিনি আরও জানান এখন পর্যন্ত ৪০০ টাকা মণ বিক্রি করেছেন তিনি। ৬০০ টাকা মণ বিক্রি করতে পারলে একদমই লোকসান হতো না তার। কচু তোলার জন্য প্রতিমণে ১৫০ টাকা খরচ হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. মঞ্জুরুল হক। তিনি জানান , তাদের এখানে চার ধরনের কচু পাওয়া যায়।  কচু চাষ অন্যান্য সবজির তুলনায় একদমই নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত। এমনকি এর উৎপাদন খরচ আলুর চেয়েও অনেক কম। যার ফলে দাম কম হলেও চাষিদের লোকসান গুণতে হয় না।

0 comments on “কচুর বাম্পার ফলন হয়েছে, কিন্তু দাম পড়ে গেছে বাজারে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ