Friday, 27 June, 2025

সর্বাধিক পঠিত

আলুর দর পড়ে গেছে, হতাশ কৃষক ও ব্যাবসায়ীরা


ঠাকুরগাঁও জেলায় আলুর দর পড়ে গেছে বাজারগুলোতে। প্রায় প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে কমছে আলুর দাম। প্রতি কেজি আলুতে জাতভেদে সাত-আট টাকা পর্যন্ত লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। যার কারণে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা হিমাগার থেকে আলু বের করা নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন। কৃষকেরা জানাচ্ছেন যে, বিগত ১০ বছরের মধ্যে তাঁরা আলুতে ৬ বছরই লোকসান দিয়েছেন। এর মধ্যে তিন বছরে পুঁজি পর্যন্ত ফেরত আনতে পারেননি অনেকে।

আলু চাষের জন্য বিখ্যাত জেলা ঠাকুরগাঁও। বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা এখান থেকে আলু কিনে নিয়ে যান প্রতিবছর। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রমতে, জেলায় ২৫ হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছিল ২০২০ সালে। এখান থেকে মোট আলু উৎপাদন এর পরিমাণ ছিল ৬ লাখ ৭২০ মেট্রিক টন। বাজারে আলুর দাম বেড়ে যাওয়ায় সেবার কৃষক ও ব্যবসায়ীরা ব্যাপক লাভ করেন। লাভের আশায় কৃষক আলু চাষে ঝুঁকে পড়েন। চলতি বছর ২৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ করেছেন কৃষকেরা, যাতে ফলন পেয়েছেন ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৬১৭ মেট্রিক টন।

আলুর দর পড়ে গেছে

আরো পড়ুন
কবুতর পালনে করনীয় ও লক্ষনীয়

অনলাইনে কবুতরের জাত নিয়ে প্রচুর কৌতূহল দেখা যায়। শুধু গিরিবাজ বা সিরাজি নয়, আরও অনেক ধরনের কবুতর বাংলাদেশে জনপ্রিয়। এদের Read more

ফলের ঘ্রাণে মাতোয়ারা জনপদ: এক অনন্য উৎসব ‘ফল মেলা’

বাংলার বাতাসে যখন আমের সুবাস, কাঁঠালের ঘ্রাণ আর জাম-লিচুর মিষ্টি রসে ভরে ওঠে জনপদ, তখনই দেশের প্রতিটি অঞ্চলে বসে এক Read more

আলু সংরক্ষণের জন্য জেলায় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১৫টি হিমাগার রয়েছে। এসব হিমাগারের আলু সংরক্ষণ করা যায় ১ লাখ ২৮ হাজার মেট্রিক টন। অর্থাৎ কৃষকের উৎপাদিত অধিকাংশ পরিমাণ আলু সংরক্ষণের বাইরে থেকে যায়। অন্যদিকে করোনাকালে হোটেল রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকায় আলুর চাহিদা কমে েগেছে।

বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, ৫০-৬০ শতাংশ আলু হিমাগার থেকে বের হয়ে যাবার কথা থাকলেও চাহিদার অভাবে এখন পর্যন্ত ২৫ শতাংশ আলুও হিমাগার থেকে বের হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে গড়ে ১০০ টাকা দাম কমেছে প্রতি বস্তা আলুতে।

ঠাকুরগাঁও ডেইরি লিমিটেডের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা জানান, আলুর সঙ্গে আলুচাষি, ব্যবসায়ী ও হিমাগার কর্তৃপক্ষ সম্পৃক্ত। তিনি পরামর্শ দেন চাষিদের লোকসান থেকে বাঁচাতে আলুভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার দিকে নজর দিতে হবে।

জেলা হিমাগার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আবদুল্লাহ বলেন, সারা দেশেই এবার হিমাগারগুলোতে আলু পড়ে আছে। আলুর বাজারমূল্যের বিপর্যয় ঠেকাতে প্রক্রিয়াজাত কারখানার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। একইসাথে  আলু রপ্তানির উদ্যোগ এবং সরকারি-বেসরকারি ত্রাণ কার্যক্রমে আলু যুক্ত করতে হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু হোসেন জানান, এবার আলুর পাশাপাশি সবজিরও রেকর্ড উৎপাদন হবার কারনে হিমাগারে সংরক্ষণ করা আলুর চাহিদা কমেছে।

0 comments on “আলুর দর পড়ে গেছে, হতাশ কৃষক ও ব্যাবসায়ীরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ