Wednesday, 03 September, 2025

আলুর ক্ষেতে পানি ভরপুর, ডুবে গেছে সাড়ে ১৩ হাজার হেক্টর


টানা তিন দিন বৃষ্টির পর মুন্সিগঞ্জের আলুচাষিদের ব্যাস্ততা বেড়েছে। কোদাল হাতে জমির দিকে ছুটেছেন তারা। জমিতে নালা কেটে পানি অপসারণ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তারা এ সময়। কিন্তু পানি অপসারণ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েন তারা। কারণ আলুর ক্ষেতে পানি ভরপুর, চারদিকেই পুরো থইথই। দেখে বোঝার উপায় নেই, এটা কী জমি নাকি নদী বা খাল। আলুর ক্ষেতে পানি ভরপুর, আর চাষিদের চোখেও জল।

সাড়ে ১৩ হাজার হেক্টর জমির আলু তলিয়ে গেছে

সরেজমিনে বুধবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, সকালে সূর্য ওঠার পরই কোদাল হাতে ছুটছেন চাষিরা।

আরো পড়ুন
ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণে করণীয়: খামারি ও কৃষকের জন্য জরুরি নির্দেশিকা

ক্ষুরা রোগ বা ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ (FMD) একটি অত্যন্ত সংক্রামক ভাইরাসজনিত রোগ, যা গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও শুকরের Read more

কাজু ও কফি: যেভাবে বদলে যাচ্ছে পাহাড়ের অর্থনীতি

পাহাড়ের কৃষিতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে কাজু বাদাম ও কফি চাষ। একসময় আমদানিনির্ভর এই দুটি ফসল এখন দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ Read more

পানি নিষ্কাশনের জন্য সবাই নিজ জমি থেকে কোদাল হাতে নালা কাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

মুন্সিগঞ্জ সদর ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় সরোজমিনে দেখা যায়, টানা তিন দিন বৃষ্টির পর কৃষকের আলুখেতে পানি জমেছে।

প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার হেক্টর জমি এখন পানির নিচে।

টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু জমির দিকে তাকালে মধ্য বর্ষা চলছে বলে মনে হবে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, বৃষ্টিতে তলিয়ে যাওয়া তাদের জমিগুলো সহজে শুকাবে না।

শুকাতে আরও ২০ থেকে ২৫ দিন সময় লেগে যাবে।

এতে আলু রোপণের মৌসুম শেষ হয়ে ওই জমিগুলোতে আর আলু রোপণ করা সম্ভব হবে না।

গত শনিবার সকাল থেকেই ঘূর্ণিঝড়‌ জাওয়াদের প্রভাবে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয় সারাদেশে।

টানা বৃষ্টির ফলে আলুর জমি পানির নিচে তলিয়ে যায়।

এতে আলুচাষিরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন।

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার যোগিনীঘাট এলাকাজুড়ে বিস্তৃত অধিকাংশ জমিতে আলু লাগানো হয়ে গেছে।

কিছু জমি রোপণের জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।

টানা বৃষ্টির কারণে পানির নিচে তলিয়ে গেছে আলুর জমিগুলো।

পানি জমে থাকায় নতুন করে আলু রোপণ করা যাচ্ছে না।

জমিতে পানি জমে থাকায় রোপণকৃত আলু পচে যাওয়ার শঙ্কায় আছেন আলুচাষিরা।

মুন্সিগঞ্জ জেলা কৃষি অধিদফতরের উপপরিচালক মো. খুরশিদ আলম।

তিনি বলেন, এ বছর আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে মুন্সিগঞ্জ জেলায় ৩৭ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে।

ইতিমধ্যে আলু আবাদ সম্পন্ন হয়েছে ১৭ হাজার হেক্টরের কিছু বেশি জমিতে।

গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে নিচু এলাকার জমি এবং সেসব জমির রোপণ করা আলু পানিতে তলিয়ে গেছে।

তবে কৃষি বিভাগ কৃষকদের পানি নিকাশের উপদেশ দিচ্ছেন।

যে যেসব জমিতে পানি জমে গেছে, সেসব জমিতে ড্রেন কেটে পানি বের করে দেবার কথা বলছেন তারা।

0 comments on “আলুর ক্ষেতে পানি ভরপুর, ডুবে গেছে সাড়ে ১৩ হাজার হেক্টর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ