Monday, 31 March, 2025

সর্বাধিক পঠিত

”ব্যানানা ম্যাংগো” জাতের আমের প্রতি চাষিদের আগ্রহ বাড়ছে


আমের গাছে সাগর কলা বলেই প্রথম দেখায় মনে হবে। মনে হবে যে থোকায় থোকায় হয়ত কলা ঝুলে আছে গাছে।  কিন্তু কাছে গেলেই দেখা যাবে সেগুলো কলা নয়, আম।   কিন্তু এই আম  কোনো সাধারণ জাতের আম নয়।  দেখতে অবিকল সাগর কলার মতো নতুন এই আমের জাতের  নাম দেয়া হয়েছে ‘ব্যানানা ম্যাংগো’।

এ আম দেখতে হলে যেতে হবে মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারে । এ খবর সংগ্রহ করা পর্যন্ত প্রতিদিনই মানুষ এখানে আসছেন এ আম দেখতে ও চারা সংগ্রহ করতে।

মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টার সূত্রে জানানো হয়,  এ আমের সাথে সাধারণ জাতের শুধু গঠনের অমিল  আছে তা নয়। ফলন, স্বাদ, গন্ধ ও গুণাগুণের দিক থেকেও এটি আলাদা। আর তাই এ আম চাষের প্রতি চাষিদের আগ্রহ বাড়ছে।এই জাতের আম  আম্রপালি থেকে  অনেক ভালো হবে। প্রায়  প্রতিদিনই কেউ না কেউ আসছেন এই আম দেখতে ও আমের চারা সংগ্রহ করতে। নতুন এই আমের জাতটি এখনো  সেভাবে পরিচিতি পায়নি। তবে আম্রপালির থেকে কেবল স্বাদে নয় বরং ফলনেও উন্নত হবে এই জাতের আম। চারা লাগানোর  দুই বছর থেকেই পাওয়া যাবে ব্যাপক ফলন ।

আরো পড়ুন
বাংলাদেশে ফের বার্ড ফ্লুর প্রাদুর্ভাব, যশোরে মুরগির খামারে শনাক্ত
মুরগীতে এভিয়ান ইনফ্লুয়িঞ্জা

বাংলাদেশে দীর্ঘ ছয় বছর পর আবারও বার্ড ফ্লুর প্রাদুর্ভাব শনাক্ত হয়েছে। যশোর জেলার একটি মুরগির খামারে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড Read more

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে ব্যাংক স্থাপনের উদ্যোগ
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছেন, খামারিদের সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার Read more

কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ জানান যে,  এ আমের ফলন দেশে প্রচলিত জাতের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি।

পাকলে সাগর কলা সদৃশ এই আম দেশি পাকা সাগর কলার মতোই চেহারা এবং রং  ধারণ করে। এ আমের বৈশিষ্ট্য হলো, এর আঁটি খুব ছোট ও খোসা পাতলা এবং এটি হালকা টকমিশ্রিত।

প্রকৃত আমের এখন হারাতে বসেছে। কিন্তু এই আমে প্রকৃত আমের স্বাদ পাওয়া যাবে।  পাকার পরেও প্রায় এক মাস ঘরে রাখা যাবে এই আম। তিনি জানান আমে রং আসতে শুরু করেছে।তার মতে  ফলনের দিক থেকে প্রচলিত জাতের আমের চেয়ে ফলন দ্বিগুণ । তাই এর বাণিজ্যিক গুরুত্ব সবদিক থেকেই বেশি।

হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-সহকারী উদ্যান তত্ত্ববিদ জানান, এ আমের ডাল থাইল্যান্ড থেকে এনে স্থানীয় জাতের আমগাছের সাথে তিনটি কলম বা গ্রাফটিং করে বংশবিস্তার করা হয়। প্রথম বছরেই গড়ে শতাধিক করে আম ধরে কলম থেকে লাগানো তিনটি গাছের প্রতিটিতেই ।

পরীক্ষামূলকভাবেই কলমের কিছু চারা বিক্রি ও বিতরণ করা হয় আগের বছর থেকে । হর্টিকালচার সেন্টারের প্রতিটি গাছেই এবার আম ধরেছে।

0 comments on “”ব্যানানা ম্যাংগো” জাতের আমের প্রতি চাষিদের আগ্রহ বাড়ছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আর্কাইভ