Wednesday, 13 August, 2025

রপ্তানি বাণিজ্যে কৃষিজাত পণ্য নতুন আশা জোগাচ্ছে দেশে


বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে কৃষিজাত পণ্য নতুন আশা জাগাচ্ছে। গত অর্থবছরে করোনা মহামারির মধ্যেই এক বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার রপ্তানি আয়ের মাইলফলক অতিক্রম করেছে এই খাত। সেই ইতিবাচক ধারা  চলতি অর্থবছরেও অব্যাহত রয়েছে।

চলতি বাজেটে ১০ বছরের কর অবকাশ সুবিধা দেয়া হয়েছে কৃষিপণ্যের ছয় খাতে। তার প্রভাবে রপ্তানি আরও বাড়বে বলে রপ্তানিকারকরা আশা করছেন।

তথ্য-পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা যায়, কৃষিপণ্য রপ্তানি থেকে ২০১০-১১ অর্থবছরে  ৪০ কোটি ডলার বিদেশি মুদ্রা দেশে এসেছিল। তা আড়াই গুণের বেশি বেড়ে  গত ২০২০-২১ অর্থবছরে ১০২ কোটি ৮১ লাখ ডলারে পৌঁছে।

আরো পড়ুন
সেচ সংকট ও খরা পশু খাদ্য উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি করছে

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে সেচ সংকট এবং খরার কারণে পশু খাদ্য উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। আবহাওয়ার অস্বাভাবিক পরিবর্তনের ফলে দেশের অনেক Read more

ফরিদগঞ্জে ‘সোনালি আঁশ’ এখন সোনালি অতীত? আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকেরা

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা একসময়  ছিল পাটের জন্য বিখ্যাত। চারপাশে দেখা যেত পাটের খেত, আর নদী-খাল-পুকুরে চলত পাট জাগ দেওয়া ও Read more

খাতটির রপ্তানি আয় গত চার বছর ধরে বাড়ছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে করোনার কারণে এ খাতের রপ্তানি ৫ শতাংশ কমে গিয়েছিল। ২০২০-২১ অর্থবছরে খাতটির রপ্তানি আয় ১৯ শতাংশ বেড়ে যায়। স্পর্শ করে প্রথমবারের মতো ১ বিলিয়ন ডলারের ‘ঘর’।

১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ১১০ কোটি ৯২ লাখ ডলার।

হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, বেশ ভালোভাবেই অর্থবছরের শুরুটা হয়েছে। কৃষিপণ্য রপ্তানি থেকে ২০ কোটি ৭২ লাখ ৩০ হাজার ডলার আয় হয়েছে জুলাই-আগস্ট সময়ে যা টাকার হিসাবে ১ হাজার ৭৬৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

গত বছরের একই সময়ের চেয়েবিদেশি মুদ্রা দেশে এসেছে  ১৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি ।

যেসব পণ্য রপ্তানি করা হয়

কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের মধ্যে বেশি রপ্তানি হয় কিছুৃ পণ্য। রুটি, বিস্কুট ও চানাচুরজাতীয় শুকনা খাবার, ভোজ্যতেল ও সমজাতীয় পণ্য, ফলের রস, বিভিন্ন ধরনের মসলা, পানীয় এবং জ্যাম-জেলির মতো বিভিন্ন সুগার কনফেকশনারির চাহিদা খুব বেশি।

দেশীয় কোম্পানিগুলো গত অর্থ বছরে শুকনো খাবার রপ্তানি করে ২৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার আয় করেছে। এর বাইরে রপ্তানি হয়েছে চা, শাকসবজি ও ফলমূল।

একসময় চা রপ্তানি করে বেশ ভালো আয় করলেও এখন তা তলানিতে নেমে এসেছে। গত অর্থবছরে চা রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৩৫ লাখ ৬০ হাজার ডলারের ।

তবে এখন শাকসবজি রপ্তানি থেকে গত অর্থবছরে ১১ কোটি ৮৭ লাখ ৩০ হাজার ডলারের বিদেশি মুদ্রা এসেছিল। ১২ কোটি ডলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জুলাই-আগস্ট মাসে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৪০ হাজার ডলার এসেছে ।

জুলাই-আগস্ট সময়ে ৫ কোটি ১৩ লাখ ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ শুধু শুকনা খাবার রপ্তানি করে। তামাক রপ্তানি থেকে এসেছে ১ কোটি ৪৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার ও মসলা রপ্তানি থেকে প্রায় ১ কোটি ডলার আয় হয়েছে ।

0 comments on “রপ্তানি বাণিজ্যে কৃষিজাত পণ্য নতুন আশা জোগাচ্ছে দেশে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ