Saturday, 15 November, 2025

মিনিকেট যে জমিতে চাষ হয়, এটা বাস্তবতা- কৃষিমন্ত্রী


শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে গাজীপুরের জয়দেপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে বার্ষিক গবেষণা কর্মশালায় (২০২১-২০২২) প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, মিনিকেট ধানটা আমি নিজে দেখেছি। নওগাঁ এলাকায় অনেক জমিতে এ ধান চাষ হয়। যশোর এলাকার কিছু জমিতেও চাষ হয়। যেটা বাজারে পাওয়া যায়, এটাই মিনিকেট। মিনিকেট যে জমিতে চাষ হয়, এটা বাস্তবতা। সেটা কিন্তু অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু ডিলাররা অন্য চালকেও নানা কৌশলে মিনিকেট বলে বিক্রি করে।

ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বিভিন্ন মিল মালিকরা অন্য জাতগুলোকে পলিশ করে মিনিকেট বলে বিক্রি করে। সেটা বন্ধের জন্য আমাদের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ব্যবসায়ীরা মিল থেকে কোন চাল কিনে পলিশ করে মিনিকেট করছে সেটা আমাদের দেখতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং খাদ্য মন্ত্রণালয় মিলে মাঠ পর্যায়ে এ নিয়ে কাজ করতে হবে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘৩০-৪০ বছর আগে দেশের মানুষ মূলত সরিষার তেলই খেতো। পরে একটা পর্যায়ে গিয়ে ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতে বিদেশের ওপর আমাদের ৯০ শতাংশ পর্যন্ত নির্ভরশীল হতে হয়েছে।’

আরো পড়ুন
পেঁয়াজের বাজারে ফের অস্থিরতা: সপ্তাহেই দাম বাড়লো ২০-২৫ টাকা
পেঁয়াজের দামে হঠাৎ মৌসুম শেষের অস্থিরতা

চলতি বছর দেশীয় পেঁয়াজ প্রায় পুরোটা সময়ই বাজারের চাহিদা মিটিয়েছে। তবে প্রতিবারের মতো এবারও পেঁয়াজ মৌসুমের শেষ সময়ে এসে বাজারে Read more

সুগন্ধি চাল রপ্তানির সময়সীমা বাড়লো: ৫০ প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন সুযোগ
রপ্তানিযোগ্য সুগন্ধি চাল

রপ্তানির সময়সীমা শেষ হওয়ার প্রায় এক মাস পর অবশেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সুগন্ধি চাল রপ্তানির সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত সোমবার Read more

তিনি বলেন, ‘এখন আবার স্থানীয়ভাবে ভোজ্যতেল উৎপাদন হচ্ছে। সেটি হলো আমাদের কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) বিজ্ঞানীরা, বিনা’র বিজ্ঞানীরা সরিষার অনেক ভালো জাত উদ্ভাবন করেছে। সেগুলোর উৎপাদনশীলতা ভালো। আগে বিঘাতে যেটা দেড় দুই মণ হতো, এখন সেটা প্রতি বিঘা ছয়-সাত মণ হয়। এখন সরিষার গাছ এতো বড় হয়, যেখানে মানুষ গেলে ডুবে যায়। আগে সরিষা গাছ ছিল ছোট ছোট।’

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফরের মহাপরিচালক বেনজির আলম, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান এ এফ এম হায়াতুল্লাহ, কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার প্রমুখ।

0 comments on “মিনিকেট যে জমিতে চাষ হয়, এটা বাস্তবতা- কৃষিমন্ত্রী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ