Sunday, 14 December, 2025

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নতুন উদ্ভাবিত “ডায়াবেটিক ধান”


ব্যাতিক্রম ৩৭ জাতের ধান উদ্ভাবন

বাংলাদেশের ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট উচ্চ ফলনশীল দুটি ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে যার মধ্যে একটি ধানের চাল বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী বলে দাবি করছে ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানী ও পুষ্টিবিদরা।

আর অন্য জাতটি দক্ষিণাঞ্চলসহ জোয়ার ভাটা অঞ্চলের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী হবে বলে জানিয়েছে ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট।

জাতীয় বীজ বোর্ডও এ দুটি ধানকে অনুমোদন দিয়েছে। ফলে এখন দুটি জাতই মাঠ পর্যায়ে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

আরো পড়ুন
পাহাড়ে বারি-৪ লাউ চাষে সাফল্য: কাপ্তাইয়ের রাইখালী গবেষণা কেন্দ্রে বাম্পার ফলন
লাউ চাষের বাম্পার ফলন

দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলাস্থ রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র (পিএআরএস) বারি-৪ জাতের লাউ চাষে বড় ধরনের সাফল্য Read more

সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান

বাংলাদেশে সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণে সকল পক্ষের স্বার্থকে সমন্বিত করে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি Read more

নতুন ধানের বৈশিষ্ট্যের কথা জনিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক নতুন উদ্ভাবিত ব্রি ধান ১০৫ ‘ডায়াবেটিক চাল’ হিসেবে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পাবে বলে তারা আশা করছেন।

ডায়াবেটিক চাল বলা হচ্ছে কেন

ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডঃ খন্দকার মো. ইফতেখারুদ্দৌলা বলছেন এ ধানটি কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বা জিআইসম্পন্ন হওয়ার কারণেই এটিকে ‘ডায়াবেটিক চাল’ বলা হচ্ছে।

“অতিরিক্ত ছাটাইকৃত চাল স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আবার আমাদের দেশে মাড় ফেলে ভাত খাওয়ার কারণে এমনি পুষ্টি কম পাওয়া যায়। এ অবস্থায় ব্রি ধান ১০৫ বেশ আগ্রহ তৈরি করেছে কারণ এটিতে পুষ্টিমান যেমন আছে তেমনি জিআই অনেক কম,” বলছিলেন তিনি।

সাধারণত খাদ্যে জিআই ৫৫ বা আর নীচে থাকলে এটি কম জিআই সম্পন্ন বলা হয়ে থাকে। ইন্সটিটিউটের গবেষণায় ব্রি ধান ১০৫-এ জিআই এই মাত্রার নিচে পাওয়া গেছে।

অবশ্য বাংলাদেশে লো জিআই-এর ধান উদ্ভাবন এবারই প্রথম নয়। এর আগেও লো জিআই সমৃদ্ধ তিনটি জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন এবারের ধানটি উচ্চ ফলনশীল জাতের এবং হেক্টরপ্রতি এর সম্ভাব্য উৎপাদন সাত টনের বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ব্রি বলেছে, বোরো মৌসুমে চাষের উপযোগী ব্রি ধান ১০৫ থেকে পাওয়া চালে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ তুলনামূলক কম এবং সে কারণেই একে ‘ডায়াবেটিক ধান’ বলা হচ্ছে।

বিবিসি অবলম্বনে।

0 comments on “ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নতুন উদ্ভাবিত “ডায়াবেটিক ধান”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ