আমাদের দেশে ব্রোকলি দিন দিন বেশ জনপ্রিয় সবজি হয়ে উঠছে। অনেকেই এটিকে সবুজ ফুলকপিও বলে থাকেন। আমাদের পুষ্টিবিদদের মতে এটি একটি উৎকৃষ্ট মানের সবজি। তবে বাজারে অনেক সময় হয়তো পাওয়া যায় না। তাই টবে সহজে ব্রোকলি চাষ করে পূরণ করতে পারেন ব্রোকলির চাহিদা।
বেশ দুর্বল প্রকৃতির সবজি ব্রোকলি। মাঠ থেকে চারা তোলার পর তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তাই টবে চাষ করতে পারলে ভালো হয় ব্রোকলি।
পুষ্টিবিদরা জানান, ব্রোকলিতে ভিটামিন সি, ক্যারোটিন ও ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেশি আছে। এছাড়াও অন্যান্য খাদ্য উপাদান রয়েছে এতে।
ব্রোকলি চাষের সময়
আশ্বিন ও অগ্রহায়ণ মাস হচ্ছে এটি চাষের উপযুক্ত সময়। বীজ থেকে চারা তৈরি করেই মূলত টবে লাগিয়ে নিতে হবে। ৩ থেকে ৪ দিন বীজ গজাতে সময় লাগে । আরেকটি বীজতলার টবে ৮ থেকে ৯ দিন বয়সের চারা তুলে অল্প দূরত্বে লাগাতে পারলে শক্তিশালী চারা পাওয়া যাবে।
সার-মাটি তৈরি করতে হবে গোবর, টিএসপি ও খৈল দিয়ে । মাটি কদিন ফেলে রেখে সব মাটি টবে পূর্ণ করতে হবে।
সার-মাটি ভরা টবে ৩ থেকে ৪ সপ্তাহের সুস্থ চারা লাগাতে হবে। বিকাল বেলা ব্রোকলির চারা লাগানোর উপযুক্ত সময়। চারা লাগানোর পর গোড়ায় মাটি চেপে দিতে হবে। নজর রাখতে হবে যেন প্রচন্ড রোদ না লাগে।
প্রথম ৩ থেকে ৪ দিন চারাকে ছায়া দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সকাল-বিকাল পানি দিতে হবে চারা না লেগে যাওয়া পর্যন্ত। মাঝে মাঝে মাটি একটু খুঁচিয়ে দিতে হবে এবং সেচ দিতে হবে কয়েকদিন দিন পর পর । ১৫ দিন পরপর তরল সার বা পাতার সার দিলে ভালো হবে।
বিভিন্ন রকম পোকামাকড় আক্রমণ করতে শুরু হতেই বালাই নাশক ও স্প্রে করতে হবে।
চারা রোপণের পর ৩ থেকে সাড়ে ৩ মাসের মধ্যে ব্রোকলির খাবার উপযোগী হয়। এর কাণ্ডের শাঁস খুব নরম হয় বলে সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। ২ থেকে ৩ সপ্তাহ হলে ফুল খাওয়ার উপযোগী হয়। ফসল সংগ্রহের সময় প্রথমে উপরের ফুলটি কেটে নিতে হবে। এরপর গাছটি বাড়তে দিলে নিচের পাতার গোড়া থেকে আবার ফুল বের হবে। যা পরবর্তীতে সময়মত সংগ্রহ করা যাবে। ব্রোকলির নিয়মিত যত্ন নিতে হবে, না হলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে না।