Sunday, 14 December, 2025

ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি সবজি ও ফুল চাষি


ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ খুব বেশি না হলেও যথেষ্ট প্রভাব রেখে গেছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি যশোরের চাষিরা। বড় ধরণের ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে ধান, সরিষা, মসুর, গোলআলু, পেঁয়াজ, মরিচসহ বিভিন্ন শস্য চাষে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতির ফলে জেলার ফুল চাষিদের এখন মাথায় হাত।

জেলার বিভিন্ন এলাকার চাষিরা জানান যে, আমন ওঠার এই সময়ে হঠাৎ ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টির ফলে ধান গাছ মাটিতে পড়ে গেছে।

যেসব ধান চাষিরা এখনও কেটে ঘরে তুলতে পারেননি।

আরো পড়ুন
পাহাড়ে বারি-৪ লাউ চাষে সাফল্য: কাপ্তাইয়ের রাইখালী গবেষণা কেন্দ্রে বাম্পার ফলন
লাউ চাষের বাম্পার ফলন

দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলাস্থ রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র (পিএআরএস) বারি-৪ জাতের লাউ চাষে বড় ধরনের সাফল্য Read more

সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান

বাংলাদেশে সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণে সকল পক্ষের স্বার্থকে সমন্বিত করে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি Read more

তাছাড়াও যে সকল চাষিরা বোরোর বীজতলা তৈরি করেছিলেন তারাও আছেন বড় দুশ্চিন্তায়।

সিংহঝুলি গ্রামের কৃষক আব্দুস সাত্তার মন্ডল।

তিনি বলেন, তার পশ্চিম পাড়া মাঠে কেটে রাখা ধান পানির নিচে ডুবে গেছে।

সেই সাথে বোরোর আগাম বীজতলাও তলিয়ে গেছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, জলাবদ্ধতার কারণে জেলায় ২৫৬ হেক্টর গোলআলু ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

সেই সাথে ৪ হাজার ১৬৩ হেক্টর মসুর, ২০০ হেক্টর মটরশুটি, ৯ হাজার ৯১০ হেক্টর সরিষা, ৪ হাজার ৬৫০ হেক্টর বিভিন্ন ধরনের সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

অন্যদিকে ১৭৫ হেক্টর পেঁয়াজ, ৩০০ হেক্টর মরিচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

অধিদপ্তর আরো জানায়, মোট চাষ করা হয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৯৪৫ হেক্টর জমি।

এর মধ্যে ৪ হাজার ১৬৮ হেক্টর জমির কাটা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।

যদি দ্রুত পানি সরে না যায় তবে আরও বৃষ্টি হলে ক্ষয়ক্ষতি বাড়বে’

ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ফুল চাষিরা

ফ্লাওয়ার সোসাইটির তথ্য অনুসারে, যশোরের ঝিকরগাছা ও শার্শা উপজেলার ৭৫টি গ্রামে প্রায় ৬ হাজার ফুলচাষির বসবাস।

শত শত হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ফুলের চাষ করেন ‍তারা।

তাদের চাষ করা ফুলের মধ্যে থাকে গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, ডেইজ জিপসি, ডালিয়া, গ্লাডিওলাস, কসমস ও চন্দ্রমল্লিকাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের সমাহার।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে টানা বর্ষণ হয়, যার কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন এসব ফুল চাষিরাও।

ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য কর্মকর্তা উপসহকারী মাসুদ হোসেন পলাশ।

তিনি জানান যে, গোলাপ ও রজনীগন্ধা প্রায় শেষের পথে।

তবে গাঁদা ফুলের ৫০ হেক্টর জমির মধ্যে ২৫ হেক্টর এবয়  গ্লাডিওলাস এর ২১২ হেক্টরের মধ্যে ১০৫ হেক্টর জমির ফুল পানিতে ডুবে গেছে।

তার মতে গাঁদা ফুল পানিতে সব নষ্ট হলেও কিছু চারা থেকে আবার ফুল আশা করা যায়।

কিন্তু  গ্লাডিওলাস ফুল সব নষ্ট হয়ে যাবে।’

ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি জনাব আব্দুর রহিম।

তিনি বলেন, ফুল চাষের জন্য শেড তৈরি করা হয়।

যাদের ভালো শেড আছে তাদের ফুলও ভাল আছে।

কিন্তু ভালো শেড থাকা চাষির সংখ্যা নগন্য।

0 comments on “ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি সবজি ও ফুল চাষি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ