Friday, 21 November, 2025

কুমড়ার ফলন বাড়ানোর কার্যকর উপায়


বাংলাদেশের গ্রামীণ ও শহুরে কৃষিতে কুমড়া একটি বহুল চাষকৃত ও জনপ্রিয় সবজি। সারা বছর চাষযোগ্য এই ফসলের পুষ্টিগুণ ও বাজারমূল্য উভয়ই উল্লেখযোগ্য। তবে সঠিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা না থাকলে ফলন ও গুণমান প্রত্যাশিত পর্যায়ে পৌঁছায় না। নিচে কুমড়ার ফলন বাড়ানোর জন্য কিছু কার্যকর উপায় তুলে ধরা হলো, যা যে কোনো কৃষক বা উদ্যোক্তার জন্য প্রযোজ্য।

উচ্চ ফলনশীল জাত নির্বাচন

    আরো পড়ুন
    নবান্ন উৎসব ঘিরে বগুড়ার বাজারে নতুন আলু, দাম চড়া ৫০০ টাকা কেজি

    সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে বগুড়ার বাজারগুলোতে উঠেছে নতুন আলু। উৎসবের আমেজে এই আলুর চাহিদা এখন তুঙ্গে। তবে Read more

    কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: সময়সূচি প্রকাশ

    ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে কৃষি গুচ্ছভুক্ত ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। পরীক্ষার তারিখ: ২০২৬ সালের Read more

  • কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান অনুমোদিত উচ্চ ফলনশীল ও রোগপ্রতিরোধী জাত যেমন ‘বারি মিষ্টি কুমড়া-১’ বা ‘বারি মিষ্টি কুমড়া-৩’ নির্বাচন করুন।
  • স্থানীয় জলবায়ু ও মাটির সাথে উপযোগী জাত বাছাই করলে ফলন ও গুণমান দুটোই বাড়ে।

জমি প্রস্তুতি ও সার ব্যবস্থাপনা

  • ৫–৬টি হালচাষ দিয়ে আগাছামুক্ত ও নরম মাটি তৈরি করুন।
  • প্রতি শতকে ৮–১০ কেজি পচা গোবর বা কম্পোস্ট, সাথে ইউরিয়া, টিএসপি ও এমওপি নির্ধারিত মাত্রায় প্রয়োগ করুন।
  • জৈব সার ব্যবহারে মাটির উর্বরতা দীর্ঘস্থায়ী হয়।

সেচ ও নিষ্কাশন

  • কুমড়া গাছে নিয়মিত আর্দ্রতা বজায় রাখা জরুরি, তবে জমিতে পানি জমে থাকা চলবে না।
  • গ্রীষ্মকালে ৭–১০ দিন অন্তর এবং শীতকালে ১২–১৫ দিন অন্তর সেচ দিন।

 রোগ-পোকা দমন

  • মিলডিউ, ফলছিদ্রকারী পোকা ও লাউ বিটল কুমড়ার প্রধান শত্রু।
  • প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ ধরা পড়লে নিম জাতীয় বায়োপেস্টিসাইড বা অনুমোদিত কীটনাশক ব্যবহার করুন।
  • আগাম প্রতিরোধে ফসল পর্যায়ক্রমে রোপণ এবং রোগাক্রান্ত পাতা অপসারণ করুন।

 লতা ছাঁটাই ও ফল ঝুলানো

  • প্রধান লতা শক্ত হলে পার্শ্ব লতা ছাঁটাই করলে ফলের আকার বড় হয়।
  • ফল মাটিতে না ছুঁয়ে থাকে সেজন্য খড় বা কাঠের উপর রেখে দিন, এতে পচন কমে।

 সংগ্রহ ও সংরক্ষণ

  • ফল পূর্ণাঙ্গ হলুদ রঙ ধারণ করলে সংগ্রহ করুন।
  • ঠান্ডা ও শুকনা স্থানে রেখে ৪–৬ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।

উপসংহার সঠিক জাত নির্বাচন, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও যত্নশীল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কুমড়ার ফলন উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো সম্ভব। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ গ্রহণ করলে কৃষকরা উৎপাদনশীলতা ও লাভ দুটোই বাড়াতে পারবেন।

0 comments on “কুমড়ার ফলন বাড়ানোর কার্যকর উপায়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ