Sunday, 28 September, 2025

আলু উত্তোলনের ধুম পড়েছে জয়পুরহাট জেলায়


আলু উত্তোলনের ধুম পড়েছে জয়পুরহাটে

আগাম জাতের আলু উত্তোলনের ধুম পড়েছে জয়পুরহাটে মাঠে মাঠে। ফলন কম হলেও এই আলুর দাম ভালো থাকে। সেকারণে প্রতিবছর ভালো দাম পাবার আশায় চাষিরা আগাম জাতের আলু রোপণ করে থাকেন। এবার আলুর ফলন গত মৌসুমের চেয়ে ভালো হয়েছে। কিন্তু এবছর দাম নিয়ে চাষিরা হতাশায় রয়েছেন। চাষাবাদের ক্ষেত্রে খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু মাঠে কিংবা হাটে কাঙ্ক্ষিত মূল্য মিলছে না।

আগাম জাতের আলুচাষিরা বলেন, তাদের সব খরচ বাদ দিয়ে কিছু পরিমাণ লাভ থাকছে। তাই যদিও আলু উত্তোলনের ধুম পড়েছে কিন্তু তবুও তাদের মনে খুশি নেই।

সপ্তাহের ব্যবাধানে দাম কমে গেছে

আরো পড়ুন
পদোন্নতি, বদলি, দুর্নীতি দমন: এক বছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ে বড় পরিবর্তন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক বছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ে বড় ধরনের প্রশাসনিক সংস্কার, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং কৃষিখাতে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। গত Read more

ধানের বাম্পার ফলন: ফুল ফোটার সময় কৃষকের করণীয়

বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য ধান। এ দেশের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা এই ফসলের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। ধানের ফলন বাড়াতে হলে এর Read more

খোজ নিয়ে জানা যায় সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম প্রতি মণে এক শ থেকে দেড় শ টাকা কমে গেছে।

এভাবে কমতে থাকলে আগামী সপ্তাহে লোকসানের মুখে পড়তে হবে বলে জানান আলুচাষিরা।

সদর উপজেলার বুম্বু বানিয়াপাড়া, কোমরগ্রাম, ভাদশার দুর্গাদহসহ বিভিন্ন এলাকায় কৃষান-কৃষানিরা আগাম জাতের আলু তুলতে ব্যস্ত।

বর্তমানে মূলত মিউজিকা, গ্রানোলা, ফ্রেশ, ক্যারেজ, রোমানা পাকরি এবং বট পাকরি আলু বেশি পরিমাণে েউত্তোলিত হচ্ছে।

আক্কেলপুর বাজারে গত সোমবার সকালে আলু বিক্রি করতে আসা চাষিদের সাথে কথা হয়।

তারা জানান প্রতি মণ ক্যারেজ আলু ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা পর্যন্ত বাজারে বিক্রি হয়েছে।

অন্যদিকে গ্রানোলা আলু ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা মণ প্রতি বিক্রয় হচ্ছে।

আলুর দাম প্রতিদিনিই  নেমে যাচ্ছে বলে জানা যায়।

এভাবে চলতে থাকলে চাষিদের লোকসানে পড়তে হবে বলেও তারা জানায়।

জয়পুরহাট সদর উপজেলার বানিয়াপাড়ার আলুচাষি মুবিনুল ইসলাম মোবিন এবার ৪৫ শতক জমিতে আগাম জাতের মিউজিকা আলু চাষ করেন।

তিনি জানান, রোপণের ৫৮ দিন বয়সে তিনি আলু তুলেছেন।

জমিতে বিঘাপ্রতি ৬৫ মণ ফলন হয়েছে।

কিন্তু পাইকারকে প্রতি বস্তায় ৩ কেজি হারে অতিরিক্ত আলু দিতে হবে।

যার কারণে সব খরচ বাদেও ৬০ মণের মত দাম পাওয়া যাবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় এবার ৪০ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আলু রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

এরমধ্যে সদর উপজেলায় ৭ হাজার ১০০ হেক্টর, পাঁচবিবিতে ৭ হাজার, কালাইয়ে ১১ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়।

অন্যদিকে ক্ষেতলালে ৯ হাজার এবং আক্কেলপুরে ৬ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়।

কিন্তু আলুর অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে।

0 comments on “আলু উত্তোলনের ধুম পড়েছে জয়পুরহাট জেলায়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ